বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বুধবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আপনারা উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারা দেশে উৎসব আনন্দ উদযাপন করুন, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন। আমি বিশ্বাস করে, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার, ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।”
তিনি পবিত্র হাদিস উদ্ধৃত করে বলেন, “যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে বা অন্যায়ভাবে সম্পদ হরণ করে, কেয়ামতের দিন আমি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দল বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে তিনি সবার সুখ, শান্তি ও কল্যাণ এবং এবারের দুর্গোৎসবের সাফল্য কামনা করেন।”
তিনি আরও বলেন, “উৎসবের ভেতর দিয়েই পরিস্ফুটিত হয় ভিন্ন ধর্ম, গোত্র ও সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র ও সংবিধানে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে, আর সেটিই রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। যারা প্রতিহিংসা ও উৎপীড়নের মাধ্যমে সমাজ ধ্বংস করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ন্যায়সংগত।’
এ উৎসব ঘিরে কোনো সাম্প্রদায়িক উসকানি বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা যেন না হয়, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অপর এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তাদের বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই। তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বারবার সাম্প্রদায়িক উসকানি, দেবালয় আক্রমণ ও সাজানো ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আজও অশুভ চক্র তৎপর রয়েছে। তবে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, যাতে শান্তি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। বিএনপি এই অঙ্গীকারেই অটল।”
গত ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসব শুরু হয়। ষষ্ঠীতে দেবীর অধিষ্ঠান শেষে রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দেবীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এই উৎসবের সমাপ্তি হবে।