বাংলাদেশের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রথম পাবনার সুজানগরে পেঁয়াজ সংরক্ষণে আধুনীক পদ্ধতির এয়ার ফ্লো মেশিন সরবরাহে দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে উপজেলার পেঁয়াজ চাষীরা প্রতারিত হয়েছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পেঁয়াজের পচন রোধে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনীক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের লক্ষে চলতি বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রয় করে সুজানগর উপজেলার ৩২০জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৩২০টি এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ করেন। ক্রয়কৃত প্রতিটি মেশিনের মূল্য ২৭হাজার টাকা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিতরণকৃত ওই মেশিনের ওজন ৩৩ কেজি, আরপিএম ২৮০০, ইঞ্জিন ১হর্স ক্ষমতা সম্পন্ন এবং পাখা ১৬/১৮ ইঞ্চি বিশিষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু সুজানগরের পার্শ্ববর্তী দুবলিয়া বাজারের মেসার্স মোল্লা মেশিনারিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ওই মেশিন সরবরাহ না করে নিম্নমানের ৫০টি মেশিন সরবরাহ করেছেন। উপজেলার কামারদুলিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক শরিফুল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিন বলেন উক্ত মোল্লা মেশিনারিজের মালিক সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা একজন দুর্নীতিবাজ এবং অকৃষিবান্ধব ব্যবসায়ী। সেকারণে তিনি আমাদের মাঝে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এয়ার ফ্লো মেশিন সরবরাহ না করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মাত্র ২০কেজি ওজন, আরপিএম ২৫৩৪, হাফ হর্স ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন এবং ১৪/১৬ ইঞ্চি পাখা বিশিষ্ট এয়ার ফ্লো মেশিন সরবরাহ করেছেন। এতে একদিকে কৃষকেরা প্রতারিত হয়েছেন, অন্যদিকে গুণগত মানসম্পন্ন মেশিন না পাওয়ায় যথাযথভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী পেঁয়াজ চাষীরা জানান। এ বিষয়ে উক্ত সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা বলেন আমি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এয়ার ফ্লো মেশিন সরবরাহ করেছি। কোন প্রকার দুর্নীতির আশ্রয় নেয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আসাদুজ্জামান বলে আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। আমার কার্যকালে ওই এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ বা সরবরাহ করা হয়নি। সেকারণে বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, উক্ত সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা শুধু সুজানগর নয়, বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি নির্দেশনা উপক্ষো করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আর ৮‘শ এয়ার ফ্লো মেশিন সরবরাহ করেছে।