মা ও প্রেমিকের শাস্তি দাবী

৩ বছরের পুত্রকে নদীতে ফেলে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন মা

এফএনএস (মোঃ আব্দুল মোতালিব; তালতলী, বরগুনা) : | প্রকাশ: ৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
৩ বছরের পুত্রকে নদীতে ফেলে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন মা

বরগুনার তালতলীতে তিন বছর বয়সী শিশু পুত্রকে নদীতে ফেলে দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায় মা মারজিয়া আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিকের শাস্তি দাবী করা হয়েছে । শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার অঙ্কুজান পাড়া এলাকায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে শত শত নারী পুরুষ ও নিহত শিশুর পরিবারবর্গ অংশ গ্রহন করেন। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিশু পুত্র শাহাদাতের  মা  মারজিয়া আক্তার তার পরকীয়া প্রেমিকের পরামর্শে বাড়ির কাছেই পায়রা নদীতে শিশুটিকে ফেলে দিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তারা দ্রুত তদন্ত পূর্বক দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

তারা বলেন, মা হয়ে সন্তানের এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। 

নিহত শিশুর পিতা শাহিন অভিযোগ করেন, সে একটি জেলে নৌকায় কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার রাত ১১ টায় বাড়ি আসলে তার একমাত্র পুত্র সন্তান ও স্ত্রী মারজিয়াকে দেখেননি। ঘরে তালা মারা দেখে বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন শুনতে পায় স্ত্রী মারজিয়া শাহীনকে তালাক দেওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলীতে গিয়েছে। ওই দিন শাহিন আমতলী গেলে বিকেলে খবর পায় তার পুত্র সন্তানটি মৃত্যু অবস্থায় নিশানবাড়িয়া এলাকার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে পায়রা নদীতে ভেসে উঠেছে। তবে তার স্ত্রী মারজিয়া পরকীয়া করে কোন প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে সে সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। শাহীন বলেন, এ সকল ব্যাপারে থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ মামলা নেয়নি, বরং নৌ পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। নৌ পুলিশের কাছে গেলে তারা আমাদের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এ দুই বাহিনীর দায়িত্ব এড়িয়ে চলার কারণে আমরা সঠিক ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, নদীতে কোনো লাশ পাওয়া গেলে সেই লাশ নিয়ে কাজ করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় নৌ পুলিশ বাদী হয়ে তালতলী থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত মারজিয়ার পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে এবং এ বিষয় পুলিশ কাজ করছে। মারজিয়াকে উদ্ধার করা হলেই আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে। 

শিশু হত্যার ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে