বরিশালের মুলাদীতে বসতবাড়ি ও কৃষি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার বিকেল ৪টায় উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ঢালী বাড়ি লঞ্চঘাট থেকে চরকালেখান নোমরহাট রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোামিটার মানববন্ধন করেন তারা। এসময় বক্তব্য রাখেন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পাটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, চরকালেখান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম সরদার, মানববন্ধন কর্মসূচির আহ্বায়ক প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম, চরকালেখান ইউপি সদস্য মো. রাশেদ খান, আব্দুল আজিজ সরদার, মুলাদী সরকারি কলেজের শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন সিকদার, চরকালেখান ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মালেক সরদার, মো. মামুন দেওয়ান, মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসীম মণ্ডল, সাবেক ইউপি সদস্য মহসিন সরদার প্রমুখ।
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ তার বক্তব্যে বলেন, লুটপাটের সুযোগ থাকা প্রকল্প নিয়ে রাষ্ট্র, সরকার ও প্রশাসন মেতে থাকে। যেসব প্রকল্পে রাজনৈতিক দলগুলো লাভবান হয়, সেই সব প্রকল্পে তদবীর করা হয়। অথচ টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের যথেষ্ট অনীহা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারকে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য টেকসই উন্নয়নের ব্যবস্থা করতে হবে। যেই প্রকল্পে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, এলাকার উন্নয়ন হয়, কৃষকের পুনঃবাসন হয় সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হলে এলাকাবাসীকে আতঙ্ক নিয়ে ঘুমাতে যেতে হবে না, আমাদের কৃষি জমি নদীতে হারিয়ে যাবে না। তাই নদী ভাঙন রোধে জিও ব্যাগের পরিবর্তে ব্লক ফেলে স্থায়ী বাধ নির্মাণ করতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচির আহ্বায়ক প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, জয়ন্তী নদীর চরকালেখান ইউনিয়নের অলীল মেম্বারের বাড়ি থেকে খেজুরতলা তেরচর মোহনা পর্যন্ত প্রায় ৪কিলোমিটার জায়গায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার প্রায় নব্বই শতাংশ ঘরবাড়ি নদী ভাঙন কবলিত হয়ে প্রতিস্থাপন হওয়ায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে। নদী ভাঙনে এসব বাড়িঘর পুনরায় হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া মুলাদী উপজেলা থেকে সফিপুর, সেলিমপুর, বাটামারা এভং নাজিরপুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। কৃষি জমি হারিয়ে প্রায় ২ সহস্রাধিক পরিবার অতিকষ্টে দিন যাপন করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বসত বাড়ি, আবাদি জমি, চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, চরকালেখান ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, পুর্ব বানীমর্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকালেখান বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোমরহাট ও গলইভাঙা বাজার নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজন।