শেরপুরে

মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের প্রতিবাদে পপির সংবাদ সম্মেলন

এফএনএস (শাকিল আহমেদ শাহরিয়ার; শেরপুর) : | প্রকাশ: ৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের প্রতিবাদে পপির সংবাদ সম্মেলন

শেরপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নামে-বেনামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারে  জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ও শহর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। একইসাথে এই অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন এবং থানায় জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পিপি ও শহর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য বলেন, গত ২০২৪ সালের ১৮ ন ভেম্বর সরকারিভাবে পিপি নিয়োগ পাওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিতে সততা, নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে কাজ আমি করে যাচ্ছি। একইসাথে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্বজনদের দায়ের করা মামলাসমূহের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গ্রেফতার হওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জামিনের বিরোধিতা করে আমার দায়িত্ব পালন করে আসছি।

গত ২৮/০৯/২০২৫ তারিখে শেরপুর সদর থানার মামলা নং-২১, তারিখ-১১/১২/২০২৪, জি, আর মোকদ্দমা নং-৫৯১/২৪, ধারা- ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ডি মামলায় এজাহার বহির্ভূত আসামি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াদের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের পক্ষে ক্রিমিনাল মিস কেইস নং-১১১০/২০২৫ মূলে জেলা জজ আদালত শেরপুরে জামিন শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আমি রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হিসেবে যথারীতি আসামীর জামিনের ঘোর বিরোধিতা করি। বিজ্ঞ বিচারক আসামীর আইনজীবী ও বাদীর জিম্মায় আসামী চন্দন কুমার পালকে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। এটি সম্পূর্ণই আদালতের নিজস্ব স্বাধীন বিচারিক ক্ষমতার অংশ। এখানে পিপির আইনগত কোনো এখতিয়ার বা প্রভাব নেই। অথচ এ নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলের লক্ষ্যে কিছু ষড়যন্ত্রকারী নামে-বেনামে বেশকিছু ফেসবুক আইডি ও পেইজ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নামে নানা ধরনের অপপ্রচার ছড়াচ্ছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়াকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে পিপির ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে- যা আমার জন্য মানহানিকর। এসব বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার রাষ্ট্রপক্ষ সংরক্ষণ করে।

আমি এ সংক্রান্ত ঘটনায় ইতিমধ্যে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি, যার নং-৪১, তাং-০১/১০/২৫ ইং। আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, রাষ্ট্রপক্ষের জোরালো বিরোধিতার কারণে দীর্ঘ প্রায় ১ বছর আগের ৬টি মামলায় জজকোর্ট থেকে জামিন নিতে ব্যর্থ হয়ে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ওইসব মামলায় জামিনের আদেশপ্রাপ্ত হন অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল।

প্রকৃতপক্ষে এসব প্রোপাগান্ডা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এক শ্রেণির অসাধু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। বর্তমান রাজনীতির ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করতে নগ্নভাবে সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা ইচ্ছা তাই লিখে প্রতিপক্ষের সম্মানহানি করা। আমি মুক্ত গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করব বিষয়টি খতিয়ে দেখে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করার জন্য।

এসময় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনা প্রমান ছাড়াই চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রমান করতে পারবেনা আমি কারো কাছে কোনো টাকা পয়সা গ্রহণ করেছি। তাই সঠিক তথ্য নিশ্চিত হয়ে সংবাদ প্রচার করার জন্য অনুরোধ করছি।

 সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. হযরত আলীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে