ইউরোপীয় মৌসুমের ব্যস্ত সূচির মধ্যেই ইংল্যান্ড জাতীয় দলের নতুন স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন প্রধান কোচ টমাস টুখেল। আসন্ন ওয়েলসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ এবং লাটভিয়ার বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বকে সামনে রেখে ঘোষিত এই দলে ফিট হয়ে উঠলেও জায়গা পাননি রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। অন্যদিকে চোটমুক্ত হয়ে আবারও দলে ফিরেছেন আর্সেনালের তারকা বুকোয়ো সাকা। তবে এভারটনের ফরোয়ার্ড জ্যাক গ্রিলিশ আবারও জাতীয় দলের বাইরে থাকছেন।
বেলিংহাম গত সেপ্টেম্বরে কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর থেকে মাঠের বাইরে ছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, নভেম্বরের আগে তার প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি ইতিমধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। তবুও ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ঝুঁকি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে সাকা পুরোপুরি ফিট হয়ে লন্ডনের ক্লাবে ফিরে দারুণ পারফর্ম করছেন। টুখেলের আক্রমণভাগে নতুন গতি আনতে পারেন এই উইঙ্গার। ইংল্যান্ড এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছে—মোট ১৫ পয়েন্ট, ১৩ গোল এবং একটিও গোল হজম না করে।
এই স্কোয়াডে ফরোয়ার্ড লাইনে আছেন হ্যারি কেন, যিনি ক্লাব পর্যায়ে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ইতিমধ্যেই ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এবং জাতীয় দলের হয়ে ৭৪ গোল করে ইতিহাস গড়েছেন। এছাড়া বার্সেলোনায় ধারে খেলা মার্কাস র্যাশফোর্ডও সুযোগ পেয়েছেন, যিনি সম্প্রতি একাধিক অ্যাসিস্ট করে নিজের ফর্ম প্রমাণ করেছেন।
নটিংহ্যাম ফরেস্টের মিডফিল্ডার এলিয়ট অ্যান্ডারসনও আবার ডাক পেয়েছেন। গত উইন্ডোতে দুই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ায় তাকে এবার শুরু থেকেই দলে রেখেছেন টুখেল। এছাড়া এসি মিলানের মিডফিল্ডার রুবেন লফটাস-চীকও এবার প্রাথমিক স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
গোলরক্ষক হিসেবে আছেন জর্ডান পিকফোর্ড (এভারটন), ডিন হেন্ডারসন (ক্রিস্টাল প্যালেস) এবং জেমস ট্র্যাফোর্ড (ম্যানচেস্টার সিটি)। রক্ষণভাগে থাকছেন রিস জেমস (চেলসি), জন স্টোনস (ম্যানচেস্টার সিটি), মার্স গুহি (ক্রিস্টাল প্যালেস) ও ড্যান বার্ন (নিউক্যাসল ইউনাইটেড)সহ আরও অনেকে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইংল্যান্ড দলের এই পরিবর্তনগুলো টুখেলের পরিকল্পনায় নতুন ভারসাম্য আনতে পারে, বিশেষত আক্রমণভাগে। তবে বেলিংহামের অনুপস্থিতি দলের সৃজনশীলতা কতটা কমাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।