নির্বাচনে সরে দাঁড়ালেন আরও এক প্রার্থী, বিতর্কের মধ্যে বিসিবি নির্বাচন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাপ আরও বেড়ে গেছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে শুক্রবার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ক্লাবের চেয়ারম্যান ও পরিচালক পদপ্রার্থী লুৎফর রহমান বাদল হঠাৎ করে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে নির্বাচনের উত্তাপ ও বিতর্ক আরও চরমে পৌঁছেছে।

 বুধবার (১ অক্টোবর) তামিম ইকবালসহ মোট ১৬ জন হেভিওয়েট প্রার্থী ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তামিম ইকবালের এই প্রত্যাহারের সময় ছিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত। একই সময়ে অন্যান্য তিনটি ক্যাটাগরির ১৫ জন প্রার্থীও নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে দাঁড়ান।

আগের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে লুৎফর রহমান বাদল জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না। তবে শনিবার (৪ অক্টোবর) হঠাৎ করেই তিনি জানান যে নির্বাচনে থাকছেন না। ইলেকশন কমিশন এখনও তার আনুষ্ঠানিক চিঠি পাননি।

বাদল চিঠিতে লিখেছেন, “আমি লুৎফর রহমান বাদল, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান। আসন্ন বিসিবি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম। এখানে কারও দিকে আঙুল তুলছি না। তবে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কখনো অনুকূলে থাকলে সবাইকে জানাবো, কেন এবং কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আমি কাঁদা ছোঁড়ার দিকে যেতে চাই না। যারা এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরিচালক হচ্ছেন তাদের প্রতি শুভকামনা। একাধিক প্যানেলে নির্বাচন হলে তা মাইলফলক হয়ে থাকত। যারা পুরো সময় আমার পাশে ছিলেন তাদের ধন্যবাদ।”

রাজশাহী বিভাগের পরিচালক প্রার্থী হাসিবুল আলমও একই দিনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন এবং নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ইতিমধ্যেই শেষ হলেও কাগজে-কলমে লুৎফর রহমান বাদলের নাম থাকবেই। তবে নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ নেই। এই পরিস্থিতিতে ক্যাটাগরি-২ বা ক্লাব প্রতিনিধি হিসেবে ১২টি পরিচালক পদে লড়াইয়ে এখন থাকছেন ১৫ জন প্রার্থী।