নীলফামারীতে হঠাৎ করে বেড়েছে সকল প্রকার সবজীর দাম। এক সপ্তাহ পুর্বে বাজারে যে সকল সবজির দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা তা এখন বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুন দামে। কোন কোন সবজির দাম বেড়েছে তিনগুন পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৪শ টাকা দরে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়িরা জানান,লাগাতার বৃষ্ঠির কারণে ক্ষেতের ফসল নষ্ঠ হয়েছে। ফলে বাজারে আমদানি কমে গেছে তাই দাম বেড়েছে।
নীলফামারী সদরের ঢেলাপীর হাটে বাজার সারতে আসা তমিদুল ইসলাম লাল বলেন, আলুর কেজি কয়েকদিন আগে ছিল ১৫ টাকা এখন ২৫ টাকা।পেঁপে ছিল ১০ টাকা এখন ৩৫ টাকা। বেগুন লম্বা ৩০ টাকা এখন ৭০ টাকা। ২০ টাকার সজি ৫০ টাকা,মুলার কেজি ৬০ টাকা, পেয়াজ ৮০ টাকা,রসুন শুকনো ১১০ টাকা,আদা বেড়ে হয়েছে ২৪০ টাকা,কাচ কলা ৩০ টাকা,মিষ্টি কুমড়ো ৫০ টাকা। এদিকে প্রকার ভেদে বেড়েছে শাকের কেজি। ১০ টাকার লাল শাক এখন ৫০ টাকা,একই দাম পাট শাক,মুলা শাক,পুই শাক,লাউ শাক,সবুজ শাকের। তবে আগুন লেগেছে কাঁচা মরিচের গায়ে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪শ টাকা। ভোক্তারা অনেকটা দিশেহারা হয়ে বাজার সারছেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে গেট বাজার করতে আসা ভারতী রানী বলেন,তরকারি রান্না করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় কাঁচা মরিচের। তিনি বলেন,তরকারির অন্যান্য উপকরণ কম হলেও চলে তবে কাঁচা মরিচ একটু বেশি লাগে। তাছাড়া যারা ঝাল বেশি খায় তাদের রান্নায় তো আরো বেশি লাগে।
রেলওয়ে বড় বাজারে আসা ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন,নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছেন। একদিকে কাজ নেই, অন্যদিকে বাজার দাম অস্বাভাবিক। বলা চলে মানুষ দিশেহারা। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
সৈয়দপুর পাইকারি বাজারে দাম কম হলেও খুচরা বাজারে দাম অস্বাভাবিক। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাড়তি দাম নিচ্ছেন এমন কথা বলেন, ভোক্তা আশরাফ আলী। তিনি বলেন,দাম বেশি হওয়ায় কাঁচা মরিচের পরিবর্তে শুকনো মরিচ নিয়েছি।
সৈয়দপুর আধুনিক পৌর সবজি বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি জয়নুল হক বলেন,লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের কোথাও কোথাও বন্যা হয়েছে। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। আমদানি কমে গেছে। তাই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। এটি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।