নীলফামারীতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জেলা প্রশাসন

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
নীলফামারীতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জেলা প্রশাসন

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। ৫ অক্টোবর গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম বানিয়া পাড়ার ২০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হয়।

 ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় চার শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়,  অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়ে। গাছ ও ঘরের নিচে চাপা পড়ে আহত হন তিনজন।

ওইদিন বিকেলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ২০টি পরিবারকে এক বস্তা করে শুকনো খাবার ও ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া রাতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খিচুড়ি রান্নার উদ্দেশ্যে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দপুর জামায়াতে ইসলামীর আমীর হাফেজ মাওলানা মো.আব্দুল মুনতাকিম,এনসিপি’র উপজেলা সমন্বয়ক আব্দুল কাইয়ুম এবং রেড জুলাইয়ের মোতালেব হোসেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ঝড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে,অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে, তিনটি গবাদিপশু মারা গেছে। আহত তিনজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,প্রাথমিকভাবে সরকারি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেই সহায়তার আওতায় আনা হবে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো দুর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করছেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে,ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ শেষে আরও সহায়তা কার্যক্রম চালু করা হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে