বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সোমবার সকালে শহীদ আবরার ফাহাদ দিবসে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত ‘রুখে দাঁড়াও ভারতীয় আধিপত্যবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, “ইসলামী শক্তি ও দেশপ্রেমিক শক্তির মধ্যে সমঝোতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কোনো আধিপত্যবাদী শক্তি যেন এ ঐক্যের পথে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সবার সজাগ থাকতে হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সমতার ভিত্তিতে ও ন্যায্যতার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে।”
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়, তবে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে মনোনয়ন বাণিজ্য, কালো টাকার প্রভাব ও অস্বচ্ছতা দূর হবে। এর মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং জনগণের কাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।”
‘জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি। একইসঙ্গে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে এমন রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে নতুন করে আর কোনো ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে না’-উল্লেখ করেন জামায়াতের এ নেতা।
তিনি আবরার ফাহাদের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার সবসময় নামাজের জন্য সহপাঠীদের ডাকতেন। তার চলাফেরা ও দেশপ্রেমিক অবস্থান দেখে ছাত্রলীগের খুনিরা তাকে শিবির সন্দেহে নির্মমভাবে হত্যা করে। মৃত্যুর আগে তিনি পানি চেয়েছিলেন, কিন্তু খুনিরা তাও দেয়নি। ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার অবৈধ চুক্তির প্রতিবাদে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াই তার অপরাধ ছিল।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। তিনি বলেন, “ছয় বছর আগে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ ছাত্রলীগের হাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার গোলামী চুক্তির বিরোধিতা করাই ছিল তার অপরাধ। আবরার আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে এদেশের ছাত্র সমাজ কোনোদিন মেনে নেবে না।”