নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে লেগেছে এখন আধুনিকতার ছোঁয়া। অত্যন্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটি রেলওয়ে স্টেশন হল সৈয়দপুর।এক সময় অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকা রেলওয়ে স্টেশন এখন আলো ঝলমল করছে সর্বক্ষণ। যাত্রী সেবার মান বেড়েছে। তবে বেড়েছে অপরাধীদের বিচরণ।
এখন রেলওয়ে স্টেশনের পরিবেশ বিপর্যয়। কোন প্রকার বাঁধা ছাড়াই স্টেশন ইয়ার্ডে আড্ডা দিচ্ছে মাদক সেবী ও ব্যবসায়িরা। শুধু এরাই যে তা নয়। স্টেশন ইয়ার্ডের উত্তরে রয়েছে একটি সৌচাগার। ওই সৌচাগারের উত্তরে রেলওয়ে জিআর শপ। পিছনে উদ্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলির কার্যালয়। তারই পাশে খ্রীস্ট ধর্মের উপাসনালয় গীর্জা। মধ্যস্থান ফাঁকা রেললাইন। লাইনে পড়ে থাকে মাসের পর মাস ট্রেনের সচল ও অচল বগি। আর ওই বগিগুলোতে চলে অসামাজিক কাজ,মাদকসেবন ও বিক্রি। অনেকটা প্রকাশ্যে অপরাধমুলক এ সকল কাজ হলেও নিরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুন্নবী।
স্টেশন এলাকার এক বাসিন্দা বলেন,রাতে রেললাইন স্লিপার চুরি, লোহা চুরি,মাদক ব্যবসা, সেবন,অসামাজিক কাজ, কোন কোন যাত্রীদের পকেট চুরি, রেললাইন দখল করে ব্যবসা সহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটলেও রেলওয়ে থানা পুলিশের তেমন একটা তৎপরতা নেই। অথচ এগুলো দেখার দায়িত্ব রয়েছে তাদের। তাই ওসির দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ক্ষোপের সৃষ্ঠি হয়েছে। অনেকে অনেক প্রশ্ন ছুড়ছেন জিআরপি থানার ওসির বিরুদ্ধে। ওই সব অপরাধীদের একটি চক্রের অবাধে চলাফেরা স্টেশনে। ফলে যাত্রীরা নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। ৬ অক্টোবর দেখা যায়,অপরাধীরা জড়ো হচ্ছে। এদের মধ্যে নারীও রয়েছে। যাত্রীদের চোখের আঁড়ালে তারা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। এগুলো দমনে রেলওয়ে পুলিশের এগিয়ে আসার কথা থাকলেও কেন যেন তারা নিশ্চুপ।
স্টেশন এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান,এক সময়ের মাদক ব্যবসায়ি বাবুয়া আবার চালু করেছে পুরনো ব্যবসা। এদিকে স্টেশন এলাকায় চলছে জুয়া খেলা। চামুয়া ও বাদশা নামে দুই ব্যক্তি ওই জুয়ার আসর পরিচালনা করছে।
স্টেশন এলাকায় এসকল অপরাধমুলক কর্মকান্ডের বিষয়ে বার বার জিআরপি থানায় অভিযোগ করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেননি ওসি। উল্টো এসকল কর্মকান্ড নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুন্নবী বলেন,অপরাধীদের আড্ডা এখন স্টেশনে নেই। তবুও আমরা নিয়মিত সেদিকে নজর রাখছি। অপরাধী গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।