দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সরকার প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার, দুই লাখ ২০ হাজার টন গম এবং ৫০ হাজার টন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির চলতি বছরের ৪০তম সভায়, যা অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিএন্টস কোম্পানি থেকে ১৫৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩৫ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে তিনটি পৃথক লটে প্রতিটির মূল্য ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় মোট ১২০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কিনবে। এছাড়াও সৌদি আরবের মা’আদেন থেকে দশম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার ৩৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় এবং কানাডার কানাডিয়ান কমার্সিয়াল কর্পোরেশন (সিসিসি) থেকে ৮ম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকায় আমদানি করা হবে।
এর পাশাপাশি দেশীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই লাখ ২০ হাজার টন গম যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে ৮২৫ কোটি ৩১ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় এবং ৫০ হাজার টন বাসমতি সিদ্ধ চাল ভারতের এম.এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ২১৯ কোটি ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ঢাকা ওয়াসার “ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট”-এর আওতায় আসিবি-০১.১৩ প্যাকেজের ভেরিয়েশন অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পের মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৩৪ কোটি ৯৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা, যেখানে ভেরিয়েশন অর্ডারের মাধ্যমে ১২ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা যোগ করে সংশোধিত মোট চুক্তিমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা। কাজটি সম্পন্ন করবে আরএফএল প্লাস্টিক লিমিটেড।
এছাড়াও সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের দুটি প্রকল্প এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়।
এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সরকার দেশের কৃষি, খাদ্য ও অবকাঠামোগত চাহিদা মেটাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, যাতে বাজারে সরবরাহে ঘাটতি না হয় এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।