বাগেরহাটের মোল্লাহাটে সরকারি চাকরির দাপটে অবৈধভাবে দোকান ঘর জবরদখল চেষ্টার প্রতিবাদ শীর্ষক ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টা উপজেলার গাংনী বাজারের ওই দোকানের সামনে ভুক্তভোগী পরিবার ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে দোকানের বৈধ দখলীয় মালিক দাবিতে গাংনী গ্রামের মৃত আবুল হোসেন শেখের ছেলে মতিন শেখ বলেন, গাংনী হাটের এক খন্ড জমি সরকারের থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে ৬টি দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়। আমার বাবা ও কাকারা ৬ভাই ১টি করে দোকান ঘর পান। এরমধ্যে সামনের সারিতে ২টি দোকানের একটি শুরু থেকেই আমাদের দখলে। আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা বেশি অসহায় হয়ে পড়ি, কোন রকম ওই দোকান পরিচালনা করে আমার বৃদ্ধ মাসহ পরিবারের সকলের জীবিকা নির্বাহ করছি। আমার কাকা কবির শেখ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়ির চালক হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে ওই দোকান থেকে বেদখল করার চেষ্টা করছে। সামনের সারিতে দুটি দোকানের একটি তার দখলে আছে, আবার আমাদের দোকানঘরটিও দখল নিতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাদেরকে পিছনের দোকানে ঠেলে দিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেছেন। এ হয়রানি হতে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই পরিবারটি। এসময় মতিন শেখের মা শিরিনা বেগম ও বোন সালমা অনুরূপ বক্তব্য দেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন শেখ সহ ওই বাজারের দোকানদার জাহিদ হোসেন ও মেহেদী হাসান জানান, তারা দেখেছেন মতিনের বাবা যেখানে ব্যবসা করেছেন, সেখানেই মতিনের দোকান ঘর। তাকে অসহায় পেয়ে অন্যায়ভাবে পিছনে দেয়ার চেষ্টা করছে তারা কাকা কবির শেখ। কবির শেখের পক্ষে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রেনজি খানম বলেন, আমার স্বামী মোঃ শফিউল্লাহ শেখ প্যারালাইসিসের কারণে পঙ্গু হয়ে পড়েছে। যে কারণে আমার স্বামী-ভাসুররা ছয় ভাইয়ের মধ্যে ৫জন একমত হয়ে সামনের দোকানটি আমাদের দিতে চাইছেন। আমার আরেক ভাসুরের ছেলে মতিন বাহিরের লোকদের কথায় এ মানববন্ধন করেছে। আমার ভাসুর কবির শেখ আমাদের অনেক সাহায্য করেন অথচ তার সুনাম নষ্ট করতে এসব করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।