বাজারে পেয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে

এফএনএস (মোস্তাফিজার রহমান মিলন; হিলি, দিনাজপুর) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৪০ পিএম
বাজারে পেয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে

হিলি বন্দরে পেয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২৩ থেকে ২৫ টাকা। পাইকারিতে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। এদিকে হঠৎ দাম কমে আসায় খুশি পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা। পেয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলে দাবি করছে আমদানিকারকরা । হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর নাসিক গুজরাট বেলোরি জাতের পেঁয়াজ বেশি আমদানি হচ্ছে। একসপ্তাহ আগেও বন্দরে এসব জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতিকেজি পেয়াজ ৩০ থেকে ৩৫টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে হিলি বন্দর দিয়ে ৫ থেকে ১০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছেলো, এখন সেখানে দ্বিগুন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা আইনাল আলী জানান, হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে  উত্তরাঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পাইকারী দরে সরবরাহ করি। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহের প্রথম থেকেই কমতির দিকে ছিল। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমতে কমতে এমন পর্যায়ে এসেছে, যা বলার মতো নয়। যে পেঁয়াজ একসপ্তাহ আগেও ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ছিল, সেই পেঁয়াজ এখন দাম কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম কমছে।  পেঁয়াজের বাজার এখন নিন্মমুখি উল্লেখ করে বলেন,  ব্যবসায়ীরা পাইকারী বাজারে পেঁয়াজ কিনতে ভয় পাচ্ছে। পেঁয়াজ কিনতে আসা আরেক ব্যবসায়ী আব্দুল খায়ের বলেন, ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমদানি বৃদ্ধির ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। এছাড়া দেশীয় নতুন পেঁয়াজও পাতা পেয়াজ  পর্যাপ্ত পরিমাণে উঠেছে। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের চাহিদাই বেশি। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা কম। যার কারণে দাম কমতির দিকে রয়েছে। একসপ্তাহ আগেও পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম কমতে কমতে বর্তমানে তা ৩২ টাকার নিচে নেমেছে। বর্তমানে পেঁয়াজ ৩২ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এরফলে সেদেশের বাজারেই পেঁয়াজের সরবরাহ যেমন বেড়েছে, দামও অনেকটা নিম্নমুখি। এতে করে ভারতে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারায় আমরাও আমদানি করে দেশের বাজারে কম দামে বিক্রি করতে পারছি। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পেঁয়াজ আমদানিও বেড়েছে। এতে করে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখি। এদিকে ভারতের পেঁয়াজের সররবাহ বেড়ে যাওয়া দেশটির সরকার পণ্যটির যে ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ করে রেখেছিল, সেটিও প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এদেশের আমদানিকারকদের জানিয়েছেন। এমন তথ্য জানিয়ে আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, এই ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার করা হলে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়বে। ফলে দাম আরও কিছুটা কমে আসতে পারে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে