বড়াইগ্রামে সানাউল্লাহ নুর বাবু’র স্মরণসভা

এফএনএস (আপন; বড়াইগ্রাম, নাটোর) : | প্রকাশ: ৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম
বড়াইগ্রামে সানাউল্লাহ নুর বাবু’র স্মরণসভা

নাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সানাউল্লাহ নুর বাবুর নির্মম হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ১৫ বছর পূর্তিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার বিকালে বনপাড়া বাজারে শহীদ সানাউল্লা নুর বাবু চত্ত্বরে বাবু সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভায় জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও সানাউল্লাহ নুর বাবুর সহধর্মিণী মহুয়া নুর কচির সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান বেলাল মৃধার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল। সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের মিয়া, শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা মামলায় মৃত্যুদন্ড থেকে খালাসপ্রাপ্ত ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা শরীফুল ইসলাম তুহিন, বাগাতিপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ হোসেন, লালপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ পাপ্পু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম জহির, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান ও যুগ্ন আহ্বায়ক মেমন। সভায় সভাপতির বক্তব্য দানকালে বাবুর সহধর্মিণী মহুয়া নুর কচি কেঁদে কেঁদে বাবুর খুনীদের বিচার দাবি করেন এবং নিজেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নাটোর-৪ আসনে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেন। 

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর বনপাড়া বাজারে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় সানাউল্লাহ নূর বাবু খুন হন। পরদিন তার স্ত্রী মহুয়া নূর কচি বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালতে সম্পূরক আবেদনের মাধ্যমে ১৮ জনকে অর্ন্তর্ভক্ত করে মোট ৪৫ জনকে আসামি করা হয়।