অনলাইন জুয়ায় আসক্ত একামত্র ছেলে পিতা-মাতাকে হত্যা করে শয়নকক্ষে খাটের নিচে পুতে রাখে ছেলে। ঘটনার একদিন পর সকালে নিহতের মেয়ে ফোন করে মা-বাবার সাথে কথা বলতে চাইলে ভাইয়ের কথায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে শয়নক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পিতা-মাতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
পরিবার, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছেলে বুধবার সকাল ১১টার দিকে নিজ ঘরে প্রথমে মা’ বানোয়ারা বেগম (৬০) কে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরে পুতে রাখে। রাতের বেলায় বাবা মোহাম্মদ আলী (৭০) কে হত্যা করে একই ঘরে মাটিচাপা দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের মেয়ে মোছাঃ জরিনা বেগম ভাইয়ের (হত্যাকারী) ফোন কল দিয়ে মাতা-পিতার খোঁজ-খবর নিতে তাদের সাথে কথা বলতে চায়। ঘাতক ভাইয়ের কথাগুলো অসংলগ্ন হলে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তারা বাড়ীতে আসে।
বাড়ীতে এসে ঘরের ভিতরের আসবাবপত্র এলোমেলো দেখে সন্দেহ ঘনিভূত হয়। এসময় খাটের ওপরে থাকা সবকিছু ভিজা কেন জানতে চাইলে বলে পানি পড়েছে বিছানায়। পরে ঘরে থাকা ট্রাংকের নিচে রক্ত ও বালুমাখা জিনিস দেখে সন্দেহ আরও গভীর হয়। এক পর্যায়ে ট্রাংকের নিচে থাকা বালু সরালে মা-বাবার হাত দেখা যায়। এসময় জরিনা বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ঘাতক রিয়াদ হোসেন রাজু (৩০) কে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশ কে খবর দেয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ঘাতক সন্তানের হাতে পিতা-মাতা হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পিতা মোহাম্মদ আলী ও মাতা বানোয়ারা বেগমের মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়নি।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর আহমেদ বলেন, ঘাতক ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজু কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত চলছে।