বড়াইগ্রামে মমতাজ বেগম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২

এফএনএস (আপন; বড়াইগ্রাম, নাটোর) : | প্রকাশ: ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
বড়াইগ্রামে মমতাজ বেগম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২

নাটোরের বড়াইগ্রামে বৃদ্ধা মমতাজ বেগম (৭০) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং মুল অভিযুক্ত নাতনী ও তার কথিত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে নিজ বাড়িতে তাকে নাক-মুখ থেঁতলে হত্যা করা হয়। নিহত মমতাজ বেগম বনপাড়া সরদার পাড়ার শফি ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী। 

এ ঘটনায় গ্রেফতাররা হলেন- সরদার পাড়া মহল্লার শাহিনুজ্জামান শাহীনের মেয়ে ফাওজিয়া খাতুন (২০) ও তার কথিত স্বামী উপজেলার মাঝগ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে মিনারুল ইসলাম (২৫)। 

থানা সুত্রে জানা যায়, প্রায় বছর খানেক আগে ফাওজিয়া পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরে স্বামীকে তালাক দেয়। এরপর থেকে সে পরকীয়া প্রেমিক মিনারুলকে স্বামী পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে সংসার করে আসছিল। ঘটনার দিন ফাওজিয়া তার দাদী মমতাজ বেগমের বাড়িতে আসেন। এ সময় মমতাজ স্বামীকে তালাক দেয়া ও অনৈতিক জীবনযাপন করা নিয়ে তাকে বকাঝকা করেন। এক পর্যায়ে উভয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়লে ফাওজিয়া উত্তেজনা: বশত পাশে থাকা বড় টর্চ লাইট দিয়ে তার দাদীর মুখ ও নাকে উপর্যুপরি আঘাত করে। পরে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য ফাওজিয়া তার দাদীর শরীর থেকে তিন ভরি স্বর্ণের মালা, চুড়ি, কানের দুল ও আংটি খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কথিত স্বামীর সহযোগিতায় সেসব স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে সে। এরপর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে বুধবার রাত ১১টার দিকে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার সময় নাটোর বাস টার্মিনাল থেকে তাদের দুজনকে আটক করে পুলিশ।    

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, মুল অভিযুক্ত ও লুন্ঠিত মালামাল বিক্রিতে সহযোগিতার দায়ে ফাওজিয়ার কথিত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফাউজিয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুন্ঠিত স্বর্ণালঙ্কারের দুটি আইটেম উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য দুটি অলঙ্কারও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে