বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর এক বক্তব্যকে ঘিরে সিলেট বিএনপিতে চলছে তীব্র আলোচনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার মেজরটিলা এলাকায় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচার শেষে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরিফুল হক বলেন,
“আমি এখনো স্থির করি নাই, তবে দলের চেয়ারম্যানকে বলেছি- যদি নির্বাচনে যাই, তাহলে সিলেট-১ আসনে আমাকে মনোনয়ন দিতে হবে। যদি এমপি না দেন, তাহলে সিটি মেয়র পদে আমাকে ঘোষণা দিতে হবে। না হলে বলতে হবে- আপনাকে দিয়ে হবে না, আসসালামু আলাইকুম।” এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা দলীয় অঙ্গনে নানা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
বুধবার (৮অক্টোবর) রাতে কুমারপাড়ার নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন,
“আমি স্পষ্ট করে বলেছি- সিলেট-১ আসনে আমি প্রার্থী হতে চাই। যদি দল মনে করে এমপিতে না, তাহলে সিটি করপোরেশনে প্রার্থী করবে। বিএনপির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমি কখনো দলের বিরুদ্ধে যাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু আমি নিয়ত পরিষ্কার রেখে কাজ করি, আল্লাহ নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ। আমি কাল থেকেই মাঠে নামছি প্রচারণায়। দলের প্রতীক ধানের শীষ- এটাই আমাদের একমাত্র চিন্তা।” সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মেয়র আরও অভিযোগ করেন, কিছু মহল তার বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করছে।
“যারা প্রচার করছেন, তারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাচ্ছে। বিএনপি কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছে- এখন ঐক্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,”বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শুকুর আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান ও কৃষক দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন মাস আগে সিলেট-১ আসনে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। তবে সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর তার রাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দলের ভেতরে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।