পোরশায় বিভিন্ন সড়কের পাশে ঝোপঝাড়, দুর্ঘটনার শঙ্কা

এফএনএস (এম. রইচ উদ্দিন; পোরশা, নওগাঁ) :
| আপডেট: ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম | প্রকাশ: ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম
পোরশায় বিভিন্ন সড়কের পাশে ঝোপঝাড়, দুর্ঘটনার শঙ্কা

নওগাঁর পোরশা উপজেলার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ বিভিন্ন সড়কের দু’পাশ ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। কোথাও কোথাও সড়কের ওপর চলে এসেছে বিভিন্ন গাছের ডালপালা ও লতাপাতা। সড়কগুলির দুই পাশে কোনো জায়গা ফাঁকা নেই। দেখাগেছে মূল সড়ক দিয়েই চলাচল করছে পথচারীরা। যানবাহন আসলেও পথচারীদের সড়কের পাশে দাঁড়ানো বা হেঁটে যাওয়ার জায়গাও নেই। ঝোপঝাড়ের কারণে সড়কে বাঁক গুলিতে বিপরীত দিক থেকে কোনো পরিবহন আসছে কি না তাও দেখার সুযোগ নেই। এর ফলে প্রায় ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। তবে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পথচারীরা। দেখাগেছে, সড়ক গুলির দু’পাশে ঝোপঝাড় গজিয়ে জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের দুই পাশে আগাছা ও বিভিন্ন গাছের ডালপালায় ছেয়ে গেছে। যানবাহনগুলো চলাচল করছে প্রায় ঘেষাঘেঁষি করে। আর এই সড়কগুলিতে বিভিন্ন যানবাহন চালাতে গিয়ে এক পাশ থেকে অন্য পাশ দেখা যায় না। অনেকাংশ জুড়ে সড়কের উপরে নুয়ে পড়েছে গাছ-লতাপাতা। ঝোপঝাড় গজিয়ে উঠায় যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এ কারণে ছোটখাট সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সড়কগুলির বাঁকা স্থনে এবং মোড়গুলোতে চলাচল করা খুবই সমস্যা। পথচারী আব্দুর রহিম, কামাল হোসেন, হুমায়ন কবির সহ আরো অনেকে জানান, সড়কে মানুষ চলাচলের অংশ জঙ্গলে ভরে যাওয়ায় জনসাধারন মেইন সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। কোন যানবাহন আসলে সরে দাঁড়ানোর উপায় নেই। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। একারনে দ্রুত সড়কের দু’পাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার করা দরকার বলে তারা মনে করছেন। আঞ্চলিক সড়কে বাস চালক আব্দুর রহমান ও ট্রাক চালক কবির হোসেন বলেন, সড়কের দু’পাশের বিভিন্ন ধরনের ছোটছোট গাছ বেড়ে সড়কের ওপরে উঠে এসেছে। সড়কের পাশ থেকে কেউ আসছে কিনা বা কোন প্রাণী পারাপার হচ্ছে কিনা তা দেখা যায় না। এতে অনেক সময় বিভিন্ন প্রাণি গাড়ির চাকার নিচে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কের অনেক জায়গায় বাঁক থাকায় অপর দিক থেকে গাড়ি দেখা যায় না। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে। অটো চার্জার ভ্যান চালক হামিদুল ইসলাম বলেন, সড়কের দু’পাশে ঝোপঝাড়ে ভরে যাওয়ায় তাদের ভ্যান চালাতে সমস্যায় পড়তে হয়। এদিকে পথচারীদের যেমন হাঁটার জায়গা নেই, তেমনই দিনের বেলায় ঝোপঝাড় থেকে গরু-ছাগল হঠাৎ সড়কে উঠে এসে সামনে পড়ে। ফলে তখন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সড়কের পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা মনে করছেন। নওগাঁ জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, সড়কের দু’পাশের ঝোপঝাড় বৃষ্টির জন্য কেটে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। এটি তাদের একটি রুাটিন ওয়ার্ক। বৃষ্টি কমলে তারা রাস্তার পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কারের কাজ শুরু করবেন বলে জানান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে