জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলায় (সিআর মামলা নং ৪৫৫/ ২৫) হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল রাজাপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. ফয়সাল হোসেন হিমেল।শনিবার বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে হিমেল উল্লেখ করেন রাজনৈতিকভাবে হেয় ও হয়রানি করার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান-সংক্রান্ত যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামী করা হয়েছে। হিমেল জানান, তিনি বহু বছর ধরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি রাজাপুর উপজেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর অভিযোগ, “একটি কুচক্রি মহল হিম আওয়ামী লীগের দোসর প্রমাণিত করতে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জড়াচ্ছে।”
হিমের বলেন, ঘটনার দিন আমি রাজাপুরে বিএনপির একটি কর্মসূচীতে ছিলাম। ছিলাম’। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিনে আমি ঢাকায় উপস্থিতই ছিলাম না। ঐ কর্মসূচির ভিডিও প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় আসামী করা হয়েছে।
হিমেল আরো বলেন, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি শক্তি সক্রিয়। একদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দমননীতি, অন্যদিকে দলের ভেতরে কিছু ‘বেইমান ও মুনাফিক’ চক্র। তাঁর ভাষায়, বিশেষ করে সাতুরিয়া ইউনিয়নে এ প্রভাব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত নির্বাচনে বিএনপির বহু পদধারী নেতাকর্মী প্রকাশ্যে নৌকা মার্কার এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে। তবুও তারা আজও বহাল তবিয়তে দলে রয়েছে অভিযোগ করেন তিনি।
হিমেলের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দলীয় মামলায় তাঁকে আসামী করা হয়েছে। ফলে ২০১৩ সাল থেকে তিনি নিজ বাড়িতে নিরাপদে থাকতে পারেননি।
অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা ব্যাহত সংবাদ সম্মেলনে হিমেল ব্যক্তিগত কষ্টের কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, তাঁর বৃদ্ধা মা দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। কিন্তু মামলা ও হয়রানির কারণে তিনি মায়ের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারেননি। “মামলার জটিলতার কারণে আমি পাসপোর্ট পর্যন্ত করতে পারিনি। ফলে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছি,”বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই অভ্যুত্থান-সংক্রান্ত যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও অব্যাহতি দেয়াসহ সংগঠনের ভেতরে যারা আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, তাদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা এবং তাঁর এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান রাজাপুরের এই যুবদল নেতা।