রূপসার ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়নের ঘাটভোগ পশ্চিম পাড়া এলাকায় সরকারি ইটের সড়কের কিনারা থেকে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে খামখেয়ালি ভাবে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেইসাথে সরকারি খাস জমির উপর ওই পরিবারের বসতবাড়ি করার অভিযোগও রয়েছে। এমনকি ওই পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী ভুক্তভোগী শিরিন জামান পরিবার। সুত্রে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে ঘাটভোগ পশ্চিম পাড়া মোতালেব মোল্লার পানের বরজের সন্নিকটে ওই এলাকার প্রতিবেশী মুহাম্মদ আলীর স্ত্রী রজিনা বেগম ও তার জামাতা ফিরোজ সরকারি সড়কের পাশ থেকে মাটিকাটা শুরু করে। এতে অপর প্রতিবেশী একই এলাকার মোল্লা ওহিদুজ্জামানের স্ত্রী শিরিন জামান ইটের সড়কের ক্ষতি হবে বিধায় সরকারি যায়গার মাটি কাটতে তাদেরকে নিষেধ করলে খামখেয়ালি ওই নারী রজিনা বেগম তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। এমনকি শিরিন জামানকে রজিনা বেগম ও তার জামাই ফিরোজ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক এবং ধাক্কাধাক্কি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর ওই নারী তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে থানায় একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মনগড়া অভিযোগ করে। যে অভিযোগটি তদন্ত করে কোনকিছু প্রমানিত মেলেনি। এদিকে ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে হুটহাট করে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কোনকিছু হলে বড় আকার ধারণ করার চেষ্টা করে। এমনকি এলাকার কোন আপোষ নামাও মানতে চাননা তিনি। এব্যাপারে ইটের সড়কের মাটি কেটে নেওয়া নারী রজিনা বেগম বলেন, সরকারি রাস্তার মাটি কাটার নিয়ম নেই তা আমি জানি। তারপরও সকলে কমবেশি মাটি কাটে এজন্য আমি কেটেছি। যার কারনে ওঁরা আমাকে মারধর করে। ওই নারীর বাড়িটি খাস জমির উপর রয়েছে বিষয়টি তার কাছে জানতে চাইলে তিনি সেটি সত্যতা শিকার করেন। সরকারি রাস্তার মাটি কাটতে নিষেধ করা ভুক্তভোগী প্রতিবাদী প্রতিবেশী নারী শিরিন জামান বলেন, ওই মহিলাকে সরকারি রাস্তার মাটি কাটতে নিষেধ করার কারনে তার জামাই ফিরোজ এবং সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি আমার ছেলে এবং আমাকে মারধর করে উল্টো থানায় লিখিত অভিযোগ করে। যে অভিযোগটি ছিলো সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া। কিন্তু আমরা মানসম্মানের ভয়ে কোন কিছুকরতে যাইনি। তিনি আরও বলেন, ওই মহিলা সরকারি খাস জমির উপর বসতবাড়ি করে বসবাস করে আসছে।