সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, “ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সিলেটবাসীর প্রাণরেখা হলেও সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে এটি এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও বছরের পর বছর ধরে এই মহাসড়কে কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। প্রতিদিন দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন খাত স্থবির হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, “সিলেটের গ্যাস দিয়ে সারাদেশ আলোকিত হলেও এখানকার মানুষই গ্যাস সংকটে ভোগে। রেল ও বিমান যোগাযোগেও সিলেটবাসী বৈষম্যের শিকার।”
তিনি আরও বলেন, “সিভিল সার্ভিস, সামরিক বাহিনী, রাজনীতি কিংবা সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ-সব জায়গা থেকেই সিলেটকে পরিকল্পিতভাবে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। তিনবার বন্যায় সিলেট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পুনর্বাসনে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সরকার।” এ সময় তিনি বিএনপি নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, “সেখানে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের সুস্পষ্ট রূপরেখা রয়েছে। জনগণের ম্যান্ডেট পেলে বিএনপি সিলেটের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেবে।”
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দ্রুত সংস্কার, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা, দুর্নীতির তদন্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে সিলেট জেলা বিএনপি আগামী ২০ অক্টোবর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবে। কাইয়ুম চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যোগাযোগব্যবস্থায় অবহেলা মানে জনগণের জীবনের সঙ্গে ছেলেখেলা। সিলেটবাসী আর কোনো বঞ্চনা সহ্য করবে না।” তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলন কোনো দলীয় নয়; এটি সিলেটবাসীর ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ই একমাত্র পথ।”