=নাম তাহমিনা সরকার (২৮)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল বারেকের মেয়ে। দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে ও নানা পরিচয়ে মাদক ব্যবসা করে আসছে সুন্দরী এই নারী। সর্বশেষ পুলিশ পরিচয়ে মাদক পাচারকালে গতকাল রোববার সরাইল থানা পুলিশের জালে ধরা পড়ে মাদক কারবারী তাহমিনা। নিজের মুঠোফোনের স্ক্রীনে পুলিশ সদস্য স্বামীর ছবি দেখানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাহমিনার ব্যাগ তল্লাশী করে উদ্ধার করা হয়েছে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার বিকাল আড়াইটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের ইসলামাবাদ এলাকায় সবুজ বাংলা হোটেলের সামনে অভিযান চালায় সরাইল থানার এস আই মো. আবু তাহের ও এস আই মো. জয়নাল আবেদীন। অভিযানকালে তারা সিলেট থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি গাড়ির মহিলা যাত্রী তাহমিনা সরকারের ব্যাগ দেখতে চান। তাহমিনা তখন কৌশল আটেন। তিনি নিজেকে পুলিশ সদস্যের স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। বলেন তার স্বামী সদর মডেল থানায় কর্মরত আছেন বলেন। অভিযানকারীরা পুলিশ সদস্য বলায় কিছুটা সমীহ করলেও তল্লাশী বন্ধ করেননি। নতুন ফন্দি আটেন তাহমিনা। নিজের মুঠোফোনের স্ক্রীনে পুলিশের ড্রেস ও ক্যাপ পড়িহিত এক ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে বলেন আমার স্বামীও পুলিশ সদস্য। মাদক কারবারী চতুর তাহমিনার সকল প্রকার কৌশলই পরাজিত হয় সরাইল পুলিশের কাছে। অব্যাহত তল্লাশীতে তাহমিনার ব্যাগ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেন ভারতীয় নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫০ বোতল ফেন্সিডিল। গাড়ি ভর্তি ৪৫-৫০ জন যাত্রীর সকলেই হতবাক হয়ে যান। প্রথমে নিজের ব্যাগ বলে পুলিশকে তল্লাশী চালাতে দিলেও ফেন্সিডিল ধরার পর পাল্টে যায় তাহমিনার সুর। পুলিশ নিজেদের হাতে ফেন্সিডিল তুলে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাহমিনা বলে ওঠেন এই ব্যাগ আমার না। এটা কার আমি জানি না। তখন গাড়ির সকল যাত্রী তাহমিনার মিথ্যা কথার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাহমিনা মাদক সম্রাজ্ঞী। তার বিরূদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সরাইল থানায় মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাহমিনাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।