চিলমারীতে

দারিদ্রমুক্ত বহুমূখী সমবায় সমিতির মাধ্যমে ১৫কোটি টাকা আত্মসাত

এফএনএস (মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম সিদ্দিক; চিলমারী, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
দারিদ্রমুক্ত বহুমূখী সমবায় সমিতির মাধ্যমে ১৫কোটি টাকা আত্মসাত

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দারিদ্রমুক্ত বহুমূখী সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৪ হাজার সদস্যের ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার দুপুরে সমিতির সদস্যরা উপজেলা মোড়ের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষেভে সমিতির সঞ্চয়কারী সদস্য, বিধবা নারী, দিন মজুর শ্রমজীবি সহশ্রাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করে। ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায় সমবায় সমিতি ২০০৭ সালে সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে সমিতির কার্যক্রম শুরু করে। সমিতরি সভাপতি নির্বাচিত হন রমনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, বর্তমানে তিনি সমিতির সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে অতিরিক্ত মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৪ হাজার সদস্যের নিকট থেকে মাসিক হারে ২০, ৫০, ১০০, ৫০০, ১০০০ থেকে ৪০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে নেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা সদস্যরা জমা করে। এর মধ্যে কিছু টাকা সমিতির নামে না ক্রয় করে নিজনামে ১ একর ১৯ শতক জমি ক্রয় করে। ঐ সালে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে, উপজেলা সমবায় কার্যালয় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে দেয়। সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সু-কৌশলে রমনা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান গোলাম আঁশেক আঁকা সাতে যোগসাজস করে ৪৯ শতক জমি ঐ চেয়ারম্যানের কাছে বিক্রয় করে দিয়ে সে টাকাও আত্মসাৎ করে। বর্তমানে সমিতির ৭০ শতক জমি রয়েছে। সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় এবং টাকা না পাওয়ায় সকল সদস্য দিশাহারা হয়ে পড়েছে। সমিতির সভাপতি টাকা আত্মসাৎ করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সমিতির সদস্যরা টাকা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন অভিযোগ করেও ফলাফল পাচ্ছেন না। রমনা ইউনিয়নের সরকার পাড়া এলাকার সমিতির সদস্য রাশেদা (৫০) বলেন, বেশি মুনাফা পাওয়ার আসায় অন্যের বাড়ীতে গৃহস্থলির কাজ ও ধার দেনা করে প্রতি মাসে ৫শত টাকা করে জমা করি। বর্তমানে আমার জমা টাকা দাড়িয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। একই এলাকার সখিনা বেগম (৬০) বলেন, ভিক্ষা, ঋণ ও মাটিকাটার কাজ করে  মাসে ২ হাজার টাকা করে জমা করে আমার এখন ৬ লক্ষ টাকা জমা হয়েছে। সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় টাকা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছি। ঐ ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজার এলাকার রিক্সা চালক রিপন মিয়া বলেন আমি বেশি লাভের আসায় রিকসা চালিয়ে ও ধার দেনা করে মাসে ১ হাজার ৫ শত টাকা করে জমা করে আমার টাকা হয়েছে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ঐ টাকা ফেরত না পাওয়ায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করি কিন্তু কোন প্রকার ফলাফল পায়নি। সমিতির সভাপতি আওয়ামী লীগের নেতা ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। টাকা না পাওয়ায় আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। এব্যাপারে উপজেলা সমাবায় কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন বলেন, বিধি অনুযায়ী সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা না করায় জেলা কর্তৃপক্ষ ২৭শে মে, ২০২৪খ্রিঃ তারিখে  সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে