দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অডিটরিয়ামের দুদক ও র্যাগ আয়োজিত কর্মশালায় বললেন, রাজনীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রতিষ্ঠানে। রাজনীতিবিদরা স্বচ্ছ না হলে দুর্নীতি মুক্ত হওয়া সম্ভব না। তাই আপনারা সাংবাদিকরা এখন থেকেই আওয়াজ তুলতে পারেন যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দুর্নীতিবাজকে মনোনয়ন না দেওয়া হয়। নির্বাচনে যাতে নমিনেশন বেচাকেনা না হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি ।
ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, “দুদকের কাজের ৭০ ভাগ আসে গণমাধ্যম থেকে। হয়তো আমরা সরাসরি নেই না, তবে গণমাধ্যম থেকেই আমরা ইঙ্গিত পাই। তারপর সেটি নিয়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করে। আমাদের কাজে সাংবাদিকদের সহায়তা লাগবে। আপনারা সাংবাদিকরা যদি আজকে বলেন, আপনারা আর আমাদের সঙ্গে নাই তাহলে দুদক কলাপস করবে।”
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতিবাজ সদস্যদের ফেরাতে দুদক কাজ করছে। আমরা আমাদের যত প্রক্রিয়া আছে সবই করছি। আমরা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ দিয়েছি, ফরেন মিনিস্ট্রির মাধ্যমে কাজ করছি।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দুদক ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল জাহিদ ও আবু হেনা মোস্তফা জামান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া রিপোর্টার অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক।