নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শহর। ভৌগলিক সীমারেখায় এটি রংপুর বিভাগের মধ্যস্থল পয়েন্ট।
আকাশ পথ, রেল পথ ও স্থল পথে সৈয়দপুর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের যোগাযোগ সহজতর। তাছাড়া রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষকে আকাশ পথ হয়ে সৈয়দপুর শহরের ওপর দিয়ে যেতে হয়।
অনেক সময় শুধু আকাশ পথেই নয় রেলপথেও এ বিভাগের অনেক মানুষকে যেতে হয় ঢাকা, রাজশাহীসহ বেশ কয়েকটি শহরে।
সৈয়দপুরে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা, অভ্যন্তরীণ সৈয়দপুর বিমানবন্দর,পাশে রপ্তানি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল উত্তরা ইপিজেড। সৈয়দপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র। ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হওয়ার কারণে সৈয়দপুর হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দেশের নানা গন্তব্যে যাতায়াত করে।
ফলে সৈয়দপুর শহরের ওপর চাপ পড়ে। এ শহরের সড়কগুলো তেমন প্রশস্ত নয়। ছোট ও অপ্রশস্ত সড়কে চলে বিভিন্ন হালকা ও ভারী যানবাহন। অগণিত হাল ও ভারী যান চলাচলের কারণে সড়কগুলো নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যে খানাখন্দে পরিণত হয়। পাশাপাশি লেগে থাকে অসহনীয় যানজট।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও ব্যবসায়ি মহল বার বার যানজট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েও সফলতা আনতে ব্যর্থ হয়।
আর এ সবের দায়ভার পড়ে ট্রাফিক বিভাগের ওপর। কিন্তু স্বল্প সংখ্যক সদস্য দিয়ে যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয় এ বিভাগকে।
বিশেষ করে সকালে বিমানযাত্রী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। একটু পরে জনসাধারণ ও ব্যবসায়ি। তারপর বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরতদের যাতায়াত। পাশাপাশি শহরের বুক চিরে ৮টি ট্রেন চলাচল।
অতিরিক্ত ছোট,বড় যান চলাচল। সব মিলে একাকার একটি শহর সৈয়দপুর।
তাই যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ বেশ কয়েকটি সড়ক বিভক্ত করেছে। রোড ডিভাইডার দিয়ে সড়কে শৃংখলা এসেছে। কমেছে অনেকটা যানজট।
রোড ডিভাইডার দিয়ে যে সব সড়ক বিভক্ত করা হয়েছে তা হলো মদিনা মোড়,পাঁচমাথা মোড়, শেরে বাংলা সড়ক, হরিজন মোড়, ২নং রেলঘুনটি, কলাহাটি রোড,১নং রেল ঘুমটি, শহীদ তুলশীরাম সড়ক।
এ বিষয়ে কথা হয় ট্রাফিক পরিদর্শক মাহফুজার আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন,শহরকে যানজটমুক্ত রাখার দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের। আমরা দেখি শুধু সড়কের শৃঙ্খলা।
তবে সৈয়দপুর শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে জেলা পুলিশ সুপার এএফএম তারিক হোসেন খান সব সময় নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। তাঁর নির্দেশনায় সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম ওহিদুন্নবীর তত্ত্বাবধানে কিছু সহজ উপায় বাস্তবায়ন করছি। আর রোড ডিভাইডারের কারণে কিছুটা হলেও সড়কে শৃংখলা এসেছে। কমেছে অনেকটা যানজট। এখন আর ঘন্টার পর ঘন্টা সড়কে যানজটের কবলে পড়ে থাকতে হয় না। তবে সড়কগুলো প্রশস্তকরণ অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে।