চিতলমারীতে রসুন উৎপাদনে, স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

এফএনএস (মোঃ একরামুল হক মুন্সী; চিতলমারী, বাগেরহাট) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:৫৪ এএম
চিতলমারীতে রসুন উৎপাদনে, স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

দেশের দক্ষিণাঞ্চল বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মধুমতি নদের তীরবর্তী দিগন্তজোড়া কৃষি জমিতে চাষ বিহীন কাঁদা মাটিতে কোয়া লাগিয়ে রসুন উৎপাদনে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। এখানকার অনুকূল আবহাওয়া ও বাম্পার ফলনে চাষীদের মুখে এখন হাসির ঝিলিক বইছে।  উপজেলার শৈলদাহ, কুনিয়ারচর, বাকপুর ও রাজনগরের চাষীদের এই কৃষিকাজে উপজেলা কৃষি বিভাগ নিয়মিত মনিটরিং এবং পরামর্শ প্রদান করছেন।  উপজেলা কৃষি অফিসার (কৃষিবিদ) শিফাত আল মারুফ জানান, বিল থেকে পানি নেমে গেলে কাঁদামাটিতে রোপণ করা হয় রসুনের কোয়া। কম খরচ ও পরিশ্রমে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা এই রসুন চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। এখানে প্রতিবিঘা জমিতে ২৫ এবং কোনো কোনো স্থানে ৩০ মণ রসুন ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে। বাকপুর গ্রামের রসুনচাষী আমিনুর খান (৩৫) মুঠো ফোনে জানান, গত বছর তিনি সামান্য জমিতে রসুন চাষকরে বেশ লাভবান হয়েছেন। চলতি মৌসুমে তিনি আড়াই বিঘা জমিতে রসুন ফলিয়ে ৫০ হাজার টাকা ব্যায় করেছেন,  রসুনগাছ ভালো হয়েছে। এই রসুন পরিপক্ক হলে প্রতিমন বীজ রসুন ১৩ হাজার টাকা ও কাঁচা রসুন ৬ হাজার টাকা হিসাবে ৫ লাখ টাকা তার লাভ থাকবে।  সরেজমিনে বাকপুর গ্রামের রসুনচাষী শফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় আড়াই একর জমিতে তিনি রসুন লাগিয়েছেন গাছ-পাতা ভালো আছে, ঘরে উঠলে ১২/১৩ হাজার টাকা মন দরে বীজ ও ৫/৬ হাজার টাকা দরে কাঁচা রসুন বিক্রি করে নূনতম ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করবেন। তিনি আরো জানান, বর্তমান প্রতিবিঘা জমিতে রসুনের ফলন দাঁড়িছে ৩০ থেকে ৩৫ মন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কমবেশী রসুনচাষ হলেও, কলাতলা ইউনিয়নের মধুমতির তীরবত্তী রাজনগর, শৈলদাহ, কুনিয়ারচর, বাকপুরের দিগন্ত জোড়া কৃষি মাঠে প্রায় ৩ শতাধিক বিঘা কৃষি জমির কাঁদা মাটিতে রসুনচাষ চলমান রয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে