ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়মের মধ্যে দালালের উপদ্রপ অন্যতম। দালালরা হাসপাতালে আসা রোগীদের ফুঁসলিয়ে পছন্দের প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। বিনিময়ে কিছু কমিশন পান। খোদ ২/১ জন চিকিৎসকের দালাল থাকার কথাও চাউর রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় অনেক আলোচনা হয়েছে। সোমবার হাসপাতালে আকস্মিক অভিযান করেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন। অভিযানকালে তিনি শিখা রানী (৫৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করেন। দায় স্বীকার করায় ওই নারীকে ৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। স্বস্থির নি:শ্বাস ফেলেছেন সেবা গ্রহিতারা।
ইউএনও’র দফতর ও প্রত্যক্ষদর্শী সেবা গ্রহিতারা জানায়, নানা ধরণের অনিয়মের মধ্যে এক শ্রেণির দালালদের উপদ্রব সরাইল হাসপাতালের অন্যতম সমস্যা। ওই দালালদের টানাটানি কানাকানিতে অতিষ্ঠ গ্রাম এলাকা থেকে আসা রোগীরা। এরা রোগীদের নিজেদের পছন্দের প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। বিনিময়ে কিছু কমিশন পান। রোগী বাগিয়ে নেওয়াও তাদের একটা চাকরি। এদের খপ্পরে পড়ে অনেক রোগী চিকিৎসা বঞ্ছিত হয়েছেন। অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সর্বস্ব খুঁইয়েছেন অনেকে। তাদের পেছনে সুশিল দাবীদার কিছু প্রভাবশালী লোক থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও থাকেন নীরব। এই বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। এতে কোন সুফল আসেনি। সোমবার হাসাপাতালে আকস্মিক ভাবে অভিযান পরিচালনা করেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন। এ সময় দালাল চক্রের সদস্যরা এলোপাতাড়ি দৌঁড়ে পালায়। কিন্তু হাতেনাতে আটক হন শিখা রানী নামের এক দালাল। দায় স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন শিখা রানীকে ১৮৬০ ধারায় ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এখানে দালালদের উপদ্রবের অনেক অভিযোগ আছে। আজকে এসে অনেক দালাল দেখলাম। এদের যন্ত্রণায় কর্মকর্তা কর্মচারিরা ঠিকমত কাজ করতে পারে না। সেবাবঞ্চিত হয় রোগীরা। আটকের পর অপরাধ স্বীকার করায় একজনকে ৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছি।