গরুর খামার গড়ে তুলেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বড় বাশাইল গ্রামের মো. শামীম শিকদার। সফল খামারী হিসেবে পরিচিত পেয়েছে জেলা জুড়ে। এই উদ্যোক্তা নিজে যেমন স্বাবলম্বী হয়েছেন তেমনি সৃষ্টি করেছেন কর্মসংস্থানের সুযোগ। বিশটি গরু নিয়ে খামারে যাত্রা শুরু করে এখন খামারে দুই শত পঞ্চাশটি গরু রয়েছে।
শামীম শিকদার বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. ছেকেন্দার আলী শিকদার ।
স্থানী সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামের বাসিন্দা শামীম শিকদার। তিনি নিজ বাড়িতে “রাইয়ান ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং খামার” নামে একটি গরুর খামার তৈরী করেন। এতে নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের। ২০১২ সালে ২০টি গাভী ও ষাঁড় গরু দিয়ে শুরু করে বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ২শত ৫০টি বিভিন্ন উন্নত জাতের গরু। এখন খামারের সঙ্গে যোগ হয়েছে পুকুরে মাছ চাষ। সমন্বিত সেই খামার থেকে খরচ বাদে এখন মাসে আয় হচ্ছে প্রায় চার লক্ষ টাকা।
এব্যাপারে খামার মালিক মো.শামীম শিকদার বলেন, সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে বড় আকারে খামার করার ইচ্ছে রয়েছে আমার। যাতে করে এলাকার বেকার যুবকদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়।
তিনি আরো বলেন, দেশি খাবার ব্যবহার করার কারনে গরুর রোগ বালাই কম এবং ফার্মে গরুদের সন্তানের মত লালন-পালন করি। গরুর খাবারে জন্য চার একর জমিতে ঘাস চাষ করেছি। আমার খামারে বর্তমানে ১০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো লোকজনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাক্তার পলাশ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আমার জানামতে বরিশাল বিভাগে গরু হৃষ্টপুষ্ট করা এতো বড় খামার নেই। খামারে দানাদার খাবারের পরিবর্তে গরুকে স্বাস্থ্যসম্মত প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়ে থাকে। খামারের গরুর মাংস সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত। শামীমের মতো উদ্যোক্তা দেশে গড়ে উঠলে দেশের পুষ্টিকর খাবারের ঘাটতি কমে আসবে। দেশে শামীমের মতো উদ্যোক্তারা পুরস্কার পেলে দেশের উদ্যোক্তাদের উৎসাহ বাড়বে বলে আমি আশা করি। জাতীয় প্রাণী সম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে এই খামারের নাম পুরস্কারের জন্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।