নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সরকার সব কিছু করছে: প্রধান উপদেষ্টা

এফএনএস অনলাইন: | প্রকাশ: ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম
নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সরকার সব কিছু করছে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জানিয়েছেন, “ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার জন্য সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করছে।”

বৈঠকের প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তিনি এখানে অবস্থানকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানান এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরো বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, এটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।”

সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার, বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদের প্রশংসা করেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্রমশ বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে-এটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক বিষয়।

রাষ্ট্রদূত সরকার ঘোষিত সংস্কার উদ্যোগ, বিশেষ করে জুলাই মাসের জাতীয় সনদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসতে দেখা সত্যিই ইতিবাচক। নির্বাচন পরবর্তী সময়েও এ ধরনের সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা উচিত।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে এনে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করানোর মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। এটি ছিল ঐক্য ও পরিবর্তনের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের প্রতীক। আসন্ন নির্বাচনের আগে এটি জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করছে।

সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহী বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা সম্পর্কেও আলোচনা করেন।

উভয়ে দুই দেশের জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ও বন্ধনের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও এ ক্ষেত্রে জার্মানির সহায়তা নিয়েও মতবিনিময় করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ইউরোপে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। আশা করি, নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।”

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে