চাটমোহরে ৫টি অবৈধ সোঁতিবাধ অপসারণ

এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) : | প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম
চাটমোহরে ৫টি অবৈধ সোঁতিবাধ অপসারণ

চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন নদ ও নদীতে অবৈধভাবে স্থাপন করা ৫টি সোঁতিবাধ অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর। গত বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসকল সোঁতিবাধ অপসারণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। 

এসকল সোঁতিবাধ স্থাপন করে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিধন করা হচ্ছিল। একই সাথে চলনবিল অঞ্চলের জীববৈচিত্র ধ্বংস করা হচ্ছে। এ সকল কর্মকান্ডে জড়িত এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করে চলনবিল অঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণি শিকার বন্ধে চাটমোহর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে নিয়মিত অবৈধ সোঁিতবাধ অপসারণ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় মৎস্য ও কৃষি সম্পদ রক্ষায় বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নদী ও বিলে স্থাপিত ৫টি সোঁতিবাধ অপসারণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী। উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগারি বিল,কিনু সরকারের জোলা, নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধরমগাছা ছাওয়ালদহ বিল,হান্ডিয়ালের কাটাগাঙ এলাকার ৫টি অবৈধ সোঁিতবাধ অপসারণ করা হয়। 

এদিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের পাচুরিয়া চিকনাই নদীর কালীবাড়ি পয়েন্টে বড়দহ ঘাটে জাকের সরদার গং অবৈধ সোঁতিবাধ স্থাপন করে পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দেশীয় মাছ নিধন করছেন বলে এলাকাবাসী জানান। 

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান,পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করে এই সকল অবৈধ সোঁতিবাধ স্থাপন করা হয়েছিল। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে সোঁিতবাধ অপসারণ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার সারাদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে সোঁিতবাধগুলো অপসারণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন,অবৈধ সোঁতিবাধের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।  

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে