আমদানি নির্ভর, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ মালটা চাষে এবার ফলন ও দাম ভাল। প্রায় ৬ লাখ টাকার মালটা বিক্রি করেছেন মাসুদ রানা নামে এক চাষী। সে সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের সুরুতজামান মোল্লার ছেলে।সে এলাকায় রীতিমতো সারা ফেলেছেন মাল্টা চাষে।
স্থানীয়রা জানান, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগে চাকুরী শুরু করলেও পরে তা বাদ দিয়ে ব্যাতীক্রমধর্মী চাষাবাদে মনোযোগী হন। বেছে নেন মালটা চাষাবাদে। গত পাঁচ বছর ধরে এই ফসল চাষ করে, তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাসুদ রানা নিজের এক একর জমিতে মাল্টা চাষ করেন। ২০১৯সালে শুরু করা ২৫০টি চারা গাছ ক্রয়, রোপন সহ প্রথমে প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয় এ চাষে।দুই বছর পর থেকে গাছে ফল ধরা শুরু হয়।
৩২ বছর বয়সী বিএ পাস করা মাসুদরানা বলেন,এ মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতি গাছে ফল ধরেছে দশ কেজি থেকে শুরু করে তিন মন পর্যন্ত। প্রায় আড়াই শত মণ এ মৌসুমে ফলন পাওয়া যায়। আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা মন দরে বাজারে বিক্রি করেন ভিটামিন -সি সমৃদ্ধ এই ফল । আমদানী করা মালট দেখতে কমলা রংয়ের হলেও সবুজ বর্ণের সুস্বাদু মাল্টা ওই দামে বিক্রি করে মাসুদ রানা প্রায় ছয় লাখ টাকা ঘরে তুলেছেন। আবহাওয়া, চাহিদা অনুকুল থাকায় ফলন ও দাম দুটোই ভাল পেয়েছেন এবার। সে জানায়, এছাড়াও এক একর জমিতে থাইপেয়ারা, ১০ শতাংশ জমিতে থাইলেবু, ২০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ১বিঘা জমিতে আগাম জাতের টমেটো চাষ করেছেন। তার নিকট থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, সে কঠোর পরিশ্রমী একজন চাষী,পরিশ্রমের ফল এখন ভোগ করছেন। কৃষি উদ্যোক্তা হতে চায় মাসুদ রানা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, উপজেলায় এক হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। বাজারে দাম ও অনুকূল আবহাওয়ায় এবার মালটা চাষীরা লাভবান হয়েছেন।