আজ মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে মেঘনায় ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের মাছ ধরার নিষিদ্ধ আইন। ভোলার দৌলতখানের মেঘনার জেলারাও আনন্দ উৎসবে মাছ ধরার যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। ঘাটে ঘাটে চলছে মাছ ধরার নৌকা ট্রলারে দুরুদ ও মিলাম। নদীতে নোঙ্গর দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এসব নৌকা ট্রলার।
অপর দিকে মেঘনার জেলে পল্লীর অনেক জেলেরা এখনো মাছ ধরার প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তাদের চোখে মুখে ভাসছে আনন্দ উৎসবের বিপরীতে চিন্তার ছাপ। কারণ তারা এখনো মাছ ধরার জাল সেলাই ও নৌকা ট্রলার মেরামতের কাজ শেষ করতে পারেনি। দৌলতখানের পাতার খাল, ভবানীপুরের চেয়ারম্যানের ঘাট ও ঘোষেরহাট ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
মেঘনার জেলে হাজারী, সিরাজ মাঝি, সাদেক মাঝি ও রফিক মাঝি জানান, এ বছর ইলিশ মৌসুমে মেঘনায় তেমন ইলিশ মাছ পাওয়া যায়নি। মহাজনী ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে দায় দানায় আবদ্ধ হয়ে আছি।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে জাল ফেলার প্রস্তুতি নেয়ায় দৌলতখানে মাছ ধরার জাল সুতা ও বট বিক্রির দোকানগুলোতে কেনাকাটা বেড়ে গেছে।