জেলার বানারীপাড়া পৌরসভার প্রায় দুইকোটি টাকা পৌর কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বকেয়া রয়েছে। ফলে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও ড্রেন-ডাস্টবিন উন্নয়ন কিংবা সংস্কারসহ পৌরসভার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত বেতনভাতা না পেয়ে পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার সিংহভাগ মানুষেরই কর দেওয়ার ব্যাপারে চরম অনিহা রয়েছে। পৌরসভার প্রায় চার হাজারের মধ্যে মাত্র তিন শতাধিক মানুষ নিয়মিত তাদের পৌর কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) পরিশোধ করছেন। ১৯৯০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেকেই অদ্যবধি পৌরকর পরিশোধ করেননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। ওইসময় একটি প্রভাবশালী মহল পৌরসভা যাতে প্রতিষ্ঠা না হয় সেজন্য আদালতে মামলাও ঠুকে দিয়েছিলেন। ওই মামলা নিস্পত্তির পরে ১৯৯৯ সালে বানারীপাড়া পৌরসভায় প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, একাধিকবার তাগাদা ও নোটিশ দেওয়ার পরেও পৌর কর পরিশোধ না করায় ১৫ পার্সেন্ট ছাড় দিয়ে বকেয়া প্রায় দুই কোটি টাকা আদায়ে তিন দিনব্যাপী পৌরকর মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর সকালে পৌরসভা চত্বরে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. বায়েজিদুর রহমান মেলার উদ্বোধন করেছেন। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন আকতার জানান, অসংখ্যবার নোটিশ দেওয়ার পরেও পৌরকর আদায় করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এজন্যই ১৫ পার্সেন্ট ছাড় দিয়ে বকেয়া পৌর কর আদায় করতে তিন দিনব্যাপী পৌর কর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. বায়েজিদুর রহমান পৌরসভার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড গতিশীল করে জনদুর্ভোগ লাঘবে পৌরবাসীকে মেলায় এসে কর পরিশোধের আহবান করেছেন।