দিনাজপুরে কাহারোল উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বস্তায় আদা চাষ। বাণিজ্যিকভাবে সফল এই ফসল পতিত জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করে লাভবান হওয়ায় অনেকে ঝুঁকেছেন আদা চাষে। এতে করে নিজেদের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। বস্তায় আদা চাষ করতে উপজেলায় আগ্রহী চাষীদের উদ্বুদ্ধ করার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন কৃষিবিভাগ।
কাহারোল উপজেলায় মসলার উন্নত চাষ ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রান্তিক কৃষককে প্রদর্শনীর মাধ্যমে আদা চাষ করার সহায়তা করা হলেও অনেকেই নিজ উদ্যোগে বস্তায় আদা চাষ করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, প্রকল্পের সহায়তায় আদা চাষীকে আদা চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় বীজ, সার ও অন্যান্য উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত লাভজনক এই প্রযুক্তি দেখে অনেক কৃষক এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে উপজেলায় প্রায় ২ থেকে ৩ শত কৃষক বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ শুরু করেছেন। তাছাড়া অনেকেই পারিবারিক চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ থেকে ২০ বস্তায় আদা চাষ করছেন।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক কৃষকদের আদা চাষ, আদার রোগ-বালাই দমন ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা প্রদান করছে।
সুন্দরপুর ইউনিয়নের গড়নুরপুর গ্রামের যোগেশ চন্দ্র রায় ২ হাজার ৫ শত বস্তায় আদা চাষ করেছেন। তিনি বলেন, খুব সহজেই বস্তায় আদা চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। আমার ২ হাজার ৫ শত বস্তায় আদা চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। আর আদার দাম ভালো থাকলে বিক্রি হবে ১ লক্ষ ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তিনি বলেন, সুন্দরপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা উৎপল রায় এই আদা চাষে উৎসাহিত করেছেন এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন বিভিন্ন ধরণের সার্বিক সহায়তা প্রদান করে আসছেন।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, যে কোন পতিত ও ছায়াযুক্ত স্থানে বস্তায় আদা চাষ করা সম্ভব সেই ক্ষেত্রে আম বাগানের নিচে বস্তায় আদা চাষ করলে চাষীরা একটা বিরাট আয়ের সুযোগ পাবেন। তাই আমবাগানের নিচে বস্তায় আদা চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ ও সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানে কৃষি বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।