নওগাঁর পোরশায় মাসকালাইয়ের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। মাসকলাই চাষের জন্য দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উপযোগী হওয়ায় এ উপজেলায় মাসকালাইয়ের ব্যাপক চাষ হয়েছে। খরিফ-২ এর আওতায় আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ এলাকায় বীজ বপন করা হয়। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মাসকলাই হতে তৈরীকৃত ঐতিহ্যবাহী কালাইয়ের রুটি নামকরা হলেও নওগাঁর পোরশা উপজেলায় এর কদর দিনদিন বেড়েই চলেছে। এছাড়াও মাস কলাই ডাল হিসেবে এ এলাকায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মাসকলাই এর ভুষি গরু-মহিসের খাবার ছাড়াও উচ্ছিসটাংশ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একারনে বর্তমানে এ এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে মাসকলাই চাষ হচ্ছে। জানাগেছে, প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় শাক-সবজিসহ মাস কলাই এর বীজ বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। চলতি বছর এ উপজেলায় মাসকালাইয়ের চাষ লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে বারি মাস-৩ ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ১৩০ হেক্টরে। আবহাওয়া ভাল থাকলে উৎপাদন বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের জালুয়া ও বারিন্দা গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন এবং হুমায়ন কবির বলেন, বিভিন্ন ফাঁকা জায়গা, আম বাগান সহ অন্যান্য উঁচু পতিত জমিতে মাস কলাইয়ের চাষ সহজেই করা যায়। মাসকালাই চাষ করতে তেমন কোন ঝামেলা নেই। তবে অনেক সময় পোকার আক্রমন হলে কীটনাশক প্রয়োগ করে সহজেই তা রোধ করা হয়। ফসল ভাল হলে প্রতিবিঘা জমিতে ৫-৮মন মাসকালাই উৎপাদন হবে বলে তারা জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: মামুনুর রশিদ বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৪৭০ জন কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বারি মাস-৩ জাতের বীজ ৫কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি এবং অন্যান্য শাক-সবজির বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাসকলাইয়ে সার প্রয়োগ না করে কম যত্ন করলেই ঘরে তোলা যায়। এটি একটি লাভজনক ফসল। এই ফসল চাষাবাদ করার জন্য তারা কৃষকদের উৎসাহিত করেন বলে জানান।