বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন- যারা দেশকে ভালবাসে, তারা পালায় না। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। কোন অবৈধ দখলদারকে বরদাস্ত করা হবে। কোন চাঁদাবাজকে বরদাস্ত করা হবেনা। এদেশকে কোরআনের আলোকে গড়তে চাই। কোন মুসলমান অন্য ধর্মের কাউকে আঘাত করতে পারেনা। এদেশে বাঁচার কোন অধিকার ছিলনা। শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছর ও মঈন এবং ফখরুদ্দিনের ২ বছরে মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি। এদেশের মানুষ শিক্ষালাভ করেও চাকুরী পেতনা। গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার বাদ মাগরিব চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দরের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চিরিরবন্দর উপজেলা শাখা আয়োজিত পথসভায় উপজেলা আমির মো. রাশেদুল ইসলামের সভাপতিতে প্রধান অতিথি আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাবু নরেন্দ্র মোদি বলেছেন ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস নয়, এটি ভারতের বিজয় দিবস। তখন চেতনার আওয়ামীলীগ কোথায় ছিল ? আওয়ামীলীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও তারা চেতনা বিরোধী। এদেশে সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ সমান অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করবে। আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করবে। সর্বক্ষেত্রে দেশাত্ববোধের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করতে সচেষ্ট থাকবে। কোনো চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতিকারী, দুর্নীতিবাজ থাকবে না। কেউ কোনোভাবে অন্যায়ের শিকার হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশের ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে বাইরে পাচার করেছে। সাড়ে ১৫ বছরে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে পারিনি। সেই পতন ঘটিয়ে যে সন্তানেরা আজ আমাদের স্বাধীনতা এনে দিল, এদেশের মানুষকে মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে দিল তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় প্রধান অতিথি আরও বলেন, যে যুবকেরা আগামীর বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে বুক পেতে দিয়ে বলেছে, বুকের ভিতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর। সেই যুবকদের সম্মানিত করতে তাদের হাতে আগামীর বাংলাদেশ শুধু জামায়াত না, দেশবাসী তুলে দিতে চায়।
পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাও. রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাও. আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাও. মমতাজউদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মাহাবুবুর রহমান বেলাল, দিনাজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগরী মোহাম্মদপুর (দক্ষিণ) থানা আমির শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক জেলা আমির ও সাবেক চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফতাবউদ্দীন মোল্লা, জেলা সেক্রেটারী মুহাদ্দিস ড. এনামুল হক, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল রাজিবুর রহমান পলাশ ও সাইদুল ইসলাম সৈকত, জামায়াতের জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, জেলা ইউনিট সদস্য মাও. লুৎফর রহমান, এবং অন্যান্যের মধ্যে খানসামা উপজেলা জামায়াতের আমির আনিছুর রহমান, চিরিরবন্দর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুল মমিন, পার্বতীপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মো. আবু সায়েদ, খানসামা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাও. আতাউর রহমান, খানসামা ওলামা বিভাগের সভাপতি মনিরুজ্জামান নিয়াজী, চিরিরবন্দর উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাও. মহসিন আলী, পেশাজীবি সংগঠনের সভাপতি মো. রাজিউল ইসলাম, খানসামা উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল কাফি, উপজেলা ছাত্র শিবিরের (উত্তর) সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ, উপজেলা ছাত্র শিবিরের (দক্ষিণ) সভাপতি হেলাল হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।