দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বরেন্দ্র অফিসে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, অভিযোগ অফিসের কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থেকে দিনাজপুর শহর থেকে অফিস করেন কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না ১৭৩টি গভীর নলকূপের চাষীরা।
জানা যায়, কাহারোল উপজেলার বরেন্দ্র অফিসের সহকারী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার রায় কর্মস্থলে না থেকে প্রতিদিন তিনি দিনাজপুর শহর থেকে কাহারোল অফিস করেন। প্রতিদিন সকাল ৯টায় কাহারোল অফিস থেকে তার ব্যবহৃত জীপ গাড়িটি দশ মাইল থেকে নিয়ে আসেন অফিসে। আবার অফিস শেষে জীপ গাড়িতে করে তিনি দশ মাইল যান দিনাজপুর যাওয়ার জন্য। প্রতিদিন গাড়িটি দুই বার করে মোট চার বার যাতায়াত করেন। এতে করে বরেন্দ্র অফিসের তেল বাবদ প্রায় এক হাজার টাকা খরচ হয় প্রতিদিন। কাহারোল অফিসে যোগদানের পর থেকে তার স্টোর কিপার মাসুদ রানার উপর ভর করে ১৭৩টি গভীর নলকূপের পাইপ লাইন সংযোগ দেওয়ার নাম করে বিশ হাজার টাকার স্থলে চল্লিশ থেকে ৪৫ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করেন। কে-২১ গভীর নলকূপের অপারেটর মোবাইল ফোন ০১৭৭৩২৮১৯৮৯ তিনি জানান, ৫৯০ মিটার আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ লাইন নির্মাণে মাসুদ রানা নিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা। প্রকৃতপক্ষে ২০ হাজার টাকা জমা লাগে। কে-৯৬ গভীর নলকূপের অপারেটর বলেন, ০১৭২৩১৬১৫২০ মোবইল ফোনে বলেন, ৫০০ মিটার পাইপ লাইনের জন্য মাসুদ রানা ৩৫ হাজার টাকা নেন। প্রকৃতপক্ষে ১৫ হাজার টাকা রশিদ দিয়েছি। কাজীকাটনা গভীর নলকূপের কে-১৩১ এর অপারেটর বলেন, ২ হাজার ফুট পাইপ লাইনের জন্য ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে মাসুদ রানা। এদিকে সহকারী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার রায়ের সঙ্গে তার অফিস কক্ষে গতকাল দুপুরে কথা হলে তিনি বীর দর্পে আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, উৎকোচের প্রমাণ দেন, লিখিত দেন তারপরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। কর্মস্থলে থাকেন না এই বিষয়ে তিনি বলেন, কাহারোল উপজেলা থেকে আমার বাসা ৩০ কি.মি. দূরে অনায়াসে যাতায়াত করা যায়। এক প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার গাড়ি আমি কোথায় নিয়ে যাব সেটি আমার ব্যাপার। আমি কাকো কোন কৈফিয়ত দিতে আসি নাই। অভিজ্ঞ মহলের দাবী, প্রতিদিন অফিসের দিন, প্রায় এক হাজার টাকার তেল খরচ করেন তিনি - এই টাকার উৎস কোথায়? তিনি আরো বলেন,পত্রিকায় লিখে কিছুই হয় না। উপর ওয়ালা ঠিক তো সবই ঠিক। এলাকার কৃষক ও ১৭৩টি গভীর নলকূপ অপারেটরদের দাবী, সঠিক তদন্ত করে এই নরখাদককে আইনের আওতায় আনার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।