বিনা চিকিৎসায় পঙ্গুত্বের পথে বিএনপি নেত্রী হেলেনা

এফএনএস (আপন; বড়াইগ্রাম, নাটোর) : | প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
বিনা চিকিৎসায় পঙ্গুত্বের পথে বিএনপি নেত্রী হেলেনা

নাটোরের বড়াইগ্রামের অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা পারভীন। আ’লীগের অবৈধ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকালে পুলিশের ধাওয়ায় রাস্তায় পড়ে গিয়ে মেরুদন্ডে গুরুতর আঘাত পান তিনি। তারই প্রতিক্রিয়ায় চলার ক্ষমতা হারিয়ে হুইল চেয়ারই এখন তার একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে এখনও সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন তিনি। 

হেলেনা পারভীন উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি উপজেলার ছাতিয়ানগাছা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। খালেদা জিয়ার কারাদন্ডাদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে তিনি এক মাস ১৮ দিন জেল খেটেছেন। এছাড়াও বিগত দিনে তার নামে গাড়ি ভাংচুর ও নাশকতার অভিযোগে তিনটি ছিল। 

জানা যায়, ২০১৩ সালে আওয়ামীলীগের এক তরফা সংসদ নির্বাচন বন্ধের দাবিতে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বনপাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশের ধাওয়া ও বেপরোয়া লাঠিচার্জে রাস্তায় পড়ে যান হেলেনা। এতে তার পিঠের উপরের দিকে মেরুদন্ডে গুরুতর আঘাত লাগে। তবে সে সময় আঘাতের পরিমাণ বুঝে উঠতে পারেননি। তবে কিছুদিন পর থেকেই তিনি মাঝে মাঝে হাঁটা বা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাটিতে পড়ে যেতেন। ধীরে ধীরে তার হাত ও পা ঠিক মতো কাজ করতো না। ২০২১ সালের দিকে তিনি একেবারে বিছানাগত হয়ে পড়েন। পরে রাজশাহীতে নিয়ে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষা করে তার মেরুদন্ডে আঘাতের বিষয়টি জানতে পারেন। এ সময় নিউরো সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. মো. লাইলাতুল কাদির মিল্কী জানান, আঘাতের কারণে মেরুদন্ডের হাড় একটু স্থানচ্যূত হয়ে একাধিক রগে চাপ লেগে আছে। দ্রুত অপারেশন না করালে তিনি চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাবেন। অপারেশনে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা লাগবে বলে জানান চিকিৎসক। 

এ ব্যাপারে বিএনপি নেত্রী হেলেনা পারভীন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আন্দোলনে গিয়ে আহত হয়ে এখন আমি অচল প্রায়। হাঁটতে পারি না, কোন কাজ করতে পারি না। টাকার অভাবে অপারেশনও করাতে পারছি না। কিন্তু বিএনপির স্থানীয় ২-৩ জন নেতা ছাড়া কেউ খোঁজ নেয়নি, পাশে দাঁড়ায়নি। আমি সুস্থ হয়ে আবার দলের কাজ করতে চাই। কিন্তু চিকিৎসার জন্য এতো টাকা যোগানোর সাধ্য নেই আমার। তাই আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানসহ সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমি জানি, তিনিই আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবেন। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে