পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ভাটা

এফএনএস (এস.এম. শহিদুল ইসলাম; সাতক্ষীরা) : | প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ভাটা

সাতক্ষীরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ১২৯ পদ শুন্য

সাতক্ষীরার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট ক্রমেই প্রকট আকার ধারণ করেছে। জেলার এক হাজার ৯৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলিয়ে ১ হাজার ১২৯টি পদ শুন্য পড়ে আছে। এর প্রভাব পড়ছে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান থেকে শুরু করে বিদ্যালয় পরিচালনার প্রশাসনিক কার্যক্রমেও।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, সাতক্ষীরায় বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ১ হাজার ৯৫টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৯৯১ জন, শুন্য রয়েছে ১০৪টি পদ। অন্যদিকে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৫ হাজার ৯৯৭টি হলেও কর্মরত রয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৫ জন, শুন্য আছে ৪০২টি। এছাড়া দপ্তরি কাম প্রহরীর ৬২৩টি পদও দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে।

এতে জেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে একাধিক শ্রেণির পাঠদান একসঙ্গে চালাতে হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনেও দেখা দিচ্ছে জটিলতা। স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হচ্ছে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “একই সঙ্গে দুটি ক্লাস নিতে হয়। শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক, শিক্ষক কম। ফলে শিক্ষার মান বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।”

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, “শুন্যপদের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হলে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদান স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। সীমিত জনবল দিয়েই আমরা শিক্ষার মান বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নিয়োগের মাধ্যমে শুন্যপদ পূরণ হলে জেলার প্রাথমিক শিক্ষায় স্থিতিশীলতা ফিরবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট চলতে থাকায় শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে