গত সেপ্টেম্বর মাসে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভায় প্রস্তাবিত সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বীত নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন করা হয় যা আগামী ১ জানুয়ারি হতে কার্যকর হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালা কার্যকর করার আগে কিছু বিবেচনা না করলে মাঠ পর্যায়ে সারের সুষ্ঠু সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়ে কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। বিবেচনা না করে প্রস্তাবিত সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ নীতিমালা কার্যকর হলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা। মঙ্গলবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে খুচরা সার বিক্রেতা এসোসিয়েশন খুলনার আয়োজনে মানববন্ধনে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বক্তরা। এসোসিয়েশনের ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান আকুঞ্জির সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তারা বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের ভোক্তাদের কাছে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা প্রায়ই বকেয়া থাকে যা ফসল তোলার পর পাওয়া যায়।খুচরা বিক্রেতাদেরও কৃষকের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠায় তাদের বাকীতে সার বিক্রি করতে হয়। যা তারা পরবর্তীতে ফসল তোলার পর পরিশোধ করে থাকে। এভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি ব্যবসার চেইনকে ধ্বংস করে ফেলা হবে যদি নতুন নীতিমালা জারী করা হয়। বহুলোক তাদের দায়-দেনা সমন্বয় করতে পারবে না। পাশাপাশি দেউলিয়া হয়ে মানুষের রুটি-রুজি প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
বক্তারা বিদ্যমান ডিলারদের পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতারদেরও সার সরবরাহে পূর্বের ন্যয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত, ডিলারদের কমিশন বাড়িয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ এবং ডিলার, খুচরা বিক্রেতা, সর্বোপরি কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেইদিক বিবেচনা করে বিদ্যমান ২০০৯ সালের নীতিমালা বহাল রাখা ও টিও লাইসেন্স প্রদানে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন। সভায় বক্তব্য রাখেন মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ মনিরুজ্জামান,এস,এম আনিসুজ্জামান, মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ মাহাবুব, গিয়াস উদ্দীন,আবু মুছা প্রমুখ মানববন্ধন শেষে এসোসিয়েশনের সদস্যরা খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।