বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর ইউনিটির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোল্লাহাট মাদ্রাসাঘাট এলাকায় ইমাদ পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করার সময়ে ছাত্রদের গাড়িতে ধাক্কা লাগে। এনিয়ে
দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আহত ৮ শিক্ষার্থী ও ১জন দোকান মালিক মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। ওই ঘটনায় খুলনা-মাওয়া মহসাড়কের মাদরাসা ঘাট এলাকায় অন্তত দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশর চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যানবাহন চলাচল শুরু হয় এবং শিক্ষার্থীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
চালক মনির জানান, শিক্ষার্থীদের গাড়ি বহরের একটি গাড়ি পিছনে পড়ে যায়। ফকিরহাটের নওয়াপাড়া এলাকা থেকে শুরু করে মোল্লাহাটের একটি পাম্প পর্যন্ত ওই গাড়িটিকে একটি যাত্রীবাহী বাস বার বার চাপ দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে ওই গাড়ির লোকদের সাথে শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা হয়। ওই গাড়ির লোকজন এবং স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে এবং শিক্ষার্থীদের বহনকারী সেবা গ্রীন লাইন গাড়িটির গ্লাস ভাংচুর করে। মুহুর্তের মধ্যে ঘটনাস্থল রনক্ষেত্রে পরিনত হয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের ২৫টি গাড়ির বহর ঢাকায় যাচ্ছিলো। পথে আমাদের উপর হামলা করে। অনেকে আহত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা এই আক্রমণ করেছে বলে জানান তিনি।
আরেক সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। তবে কোনো বাঁধা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরেছে। এর বিচার অতিদ্রুত করতে হবে, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর না হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করবে বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ জানান, ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। ওই পরিবহনের লোকদের কাছে জানতে চাইলে, তারা শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়। স্থানীয় কাউন্টারের লোকজন শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা ৫জন আহতের খবর পেয়েছি।ঘটনাস্থল এখন শান্ত রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।