চাঁদপুরে পঁচা ইলিশের অবৈধ প্রক্রিয়াকরণের বিরুদ্ধে অভিযান ও জরিমানা

চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ভোলার মনপুরা থেকে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা প্রায় ৩ শতাধিক কেজি পচা ইলিশ জব্দ করে মাটি চাপা এবং এবং মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর কর্মকর্তা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে যৌথ বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, “অভিযান পরিচালনাকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে একটি মাছের ট্রলারে নষ্ট পচা ইলিশ মাছ পাওয়ায় হেলাল মাঝি নামক (মনপুরা, ভোলা) একজন ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।”

ওই ব্যক্তির পক্ষে মো. মোস্তফা মাল নামক একজন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী জরিমানা পরিশোধ করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি পুনরায় এই ধরনের অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। এসময় নষ্ট পচা ইলিশ মাছ (আনুমানিক ৩৩০-৩৫০ কেজি) কেরোসিন ঢেলে মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্পের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাঁদপুরে পঁচা ইলিশের অবৈধ প্রক্রিয়াকরণের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। 

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য মৎস্য ব্যবসায়ী, জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ফারহানা আকতার রুমা এবং যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযানে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান কর্মকর্তা।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এবারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলাকালীন সময়ে চাঁদপুরের নদনদীতে কড়াকড়ি থাকলেও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ফিশিং বোটের জেলেরা বহু ইলিশ নিধন করেছে।চাঁদপুর ইলিশের মোকাম হওয়ায়, এখানকার বাসি পচা মাছ বিক্রির জন্য স্থানীয় আড়তদারদের কাছে আনা হয়।নিষেধাজ্ঞ উঠে যাবার পর এই অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী।