বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. রেজ্জাকুল হাসান ওরফে রাজু (৪৬) অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকায় র্যাব-১২ বগুড়া, সিপিসি-২ সাভার ও র্যাব-৪ এর একটি যৌথ দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত রাজু সরকারী কাজে বাধাদান ও পুলিশ আক্রমণের মামলার এজাহারভুক্ত ১নং পলাতক আসামী ছিলেন।
র্যাব জানায় , গত (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ জানতে পারে রাজু তার নিজ বাড়ির পাশে সাইফুল ইসলামের মুদি দোকানের সামনে অবস্থান করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রাজু দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু থানায় নেওয়ার পথে রাজু চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় ১৫০-২০০ জন পুরুষ ও মহিলা লাঠি, রডসহ দলবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় রাজুকে ছিনিয়ে নেয়।
এই ঘটনায় পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটির পরদিন শিবগঞ্জ থানায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশ আক্রান্ত ও আসামী ছিনতাইয়ের অভিযোগে একটি মামলা (নং-০৯, তারিখ ০৫/১০/২৫) দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের হয় দণ্ডবিধির ১৪৩/১৮৬/১৮৭/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/১১৪/৩৪ ধারায়।
এরপর থেকে রাজু পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১২ গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, তিনি আশুলিয়া এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন। সেই সূত্রে র্যাব-১২ অধিনায়ক মহোদয়ের নির্দেশনায় যৌথ অভিযানে রাজুকে নবীনগর এলাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা নগদসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাজুকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
র্যাব আরও জানায়, রাজুর বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলা রয়েছে, যেগুলোর তদন্ত এখনো চলমান। স্থানীয়ভাবে তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।