নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার কাশীপুর মুহাম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এক আশ্চর্যজনক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সহকারী অধ্যাপক হিসেবে সরকারি বেতনভুক্ত হলেও পাঁচ বছরে একদিনও ক্লাসে দেখা যায়নি ঐ শিক্ষক হোসেন মিয়াকে।
মাদ্রাসার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা কেউই হোসেন মিয়াকে কখনো ক্লাস নিতে দেখেনি, এমনকি চিনেও না। ২০২১ সাল থেকে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়নি কিন্তু হাজিরা খাতায় কখনো দেখানো হয়েছ
স্বাক্ষর, আবার কখনো দেখানো হয়েছে ছুটি। অনুসন্ধানে বিষয়টি নিয়ে গেলে কোন শিক্ষক বা কমিটি জানে না কি কারণে অনুপস্থিত। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলা উদ্দিন মুঠো ফোনে জানান, বিগত প্রধান থেকে হয়ে আসছে এই অনিয়ম, তবে নতুন কমিটির সমন্বয়ে বিষয়টি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আবার নিয়মিতভাবে সরকারি তহবিল থেকে নিচ্ছেন বেতন- ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা। যেখানে প্রতি মাসে প্রতিষ্ঠান প্রধান বেতন নথিতে স্বাক্ষর করতে হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অধ্যক্ষ মাওলানা আলা উদ্দিনের যোগসাজশে শিক্ষক হোসেন মিয়া হাজিরা স্বাক্ষর করতে পারে, এই শিক্ষক মাদ্রাসায় না এলেও সরকারের নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন-যা শিক্ষা ব্যবস্থায় এক ধরনের দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার উদাহরণ।
মাদ্রাসার সভাপতি ও পরিচালনা কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি একাধিকবার আলোচনা হয়, কিন্তু প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।
তারা অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের কোনো অস্তিত্ব না থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।