দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় সরকারি খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহের ধীরগতি। বিগত দিনে কৃষক হয়রানিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে কৃষকেরা গুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক। বাজার মূল্যের সঙ্গে সরকারি মূল্যের পার্থক্য থাকার কারণে গতকাল ১জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ধান ক্রয় করা হয়েছে ১ মেট্রিকটন ও চাল ক্রয় করা হয়েছে ৯৭ মেট্রিকটন। কাহারোল উপজেলার খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৪টি হাসকিং মিল ও ১টি অটো রাইসমিল ৩৮৬ মেট্রিকটন চাল সরকারি খাদ্য গুদামে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছেন এবং কৃষকদের নিকট হতে সরাসরি ধান ক্রয়ের জন্য কাহারোল উপজেলা ধান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৫৪ মেট্রিকটন। গত ১৭ নভেম্বর সরকারিভাবে আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। প্রায়ই দেড় মাস অতিবাহিত হলে ১ মেট্রিকটন ধান ও ৯৭ টন চাল ক্রয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল নবী। ধান-চাল কেনার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা ও চালকল মালিকদের কাছ থেকে সিদ্ধ চাল ৪৭ টাকা দরে ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার ডহন্ডা গ্রামের কৃষক অতুল চন্দ্র রায় জানান, বর্তমান বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ শুরু করে ১৪০০ টাকা। অপরদিকে খাদ্য গুদামে ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২০ টাকা। খাদ্য গুদামে দরের চেয়ে বাজারে বেশী দামে ধান বিক্রিতে বেশী টাকা পাচ্ছেন কৃষক। এছাড়া খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে বাড়তি খরচ ও হয়রানির শিকার হতে হয় বলে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে কৃষকেরা অনীহা প্রকাশ করেছেন। কাহারোল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শাহিন জানান, বাজার মূল্যের সঙ্গে সরকারি মূল্যের পার্থক্যের কারণে খাদ্য গুদামে কৃষকেরা ধান দিতে চাচ্ছেন না। তবে চুক্তিবদ্ধ মিলাররা তাদের বরাদ্দকৃত চাল যথাসময়ে খাদ্য গুদামে দিবেন বলে আশা করছেন তিনি।