মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যু

এফএনএস (আবুল খায়ের; দৌলতখান, ভোলা) : | প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যু

অবশেষে ১৮ দিন পর ঢাকা সিএমএস হাসপাতালে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন টিপন মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা জান তিনি। গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার কক্সবাজার রামু থেকে উন্নত  চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতাল  নিয়ে আসা হয়।

জানা যায়, ১২ অক্টোবর রোববার নাইক্ষ্যাছড়ি  সীমান্তে টহলরত অবস্থায়  মাইন বিস্ফোরণে তার দুপা মারাত্মকভাবে আহত হয়।  প্রাথমিকভাবে রামুর সামরিক হাসপাতালে  তাকে  চিকিৎসা দেয়া পর অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে উন্নত  চিকিৎসার জন্য  দ্রুত  ঢাকা নিয়ে আসা হয়। ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে  তার ডান পা অস্ত্রোপচারে কেটে ফেলা হয়। বাম পা না কেটে  উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে রেখে দেয়ার জন্য ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেন । পরে ২৮ অক্টোবর  বুধবার তার ডান পা টিও  কেটে ফেলার পর অবস্থার অবনতি হলে সে মারা যায়। 

ঢাকা  সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে শুক্রবার বিকেলে  আহত আক্তার হোসেন টিপনের ছেলে জিহাদ হোসেন জিদান আমার দেশকে জানিয়েছেন  তার বাবা  বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন টিপনের দুপা কেটে ফেলা হয়েছিল। অবশেষে বাম পা কাটার দুদিন পর  চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে সে মারা যায়। আহত বিজিবির নায়েক আখতার হোসেন টিপনের 

বাড়ি ভোলা  জেলার দৌলতখান  সরকারি কলেজ এলাকার  পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে। সে বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আবদুল  মান্নানের ছেলে। 

জিহাদ আরও জানায়, শনিবার সকাল ৯ টার দিকে আখতার হোসেন টিপণের মরদেহ  ঢাকা থেকে দৌলতখানের গ্রামের বাড়িতে  নিয়ে আসা হবে। 

এদিকে আক্তার হোসেনের টিপনের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। বাবা মায়ের কান্না ও আত্মীয়-স্বজনের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। 

উল্লেখ্য, আখতার হোসেন টিপন  কক্সবাজার (৩৪ বিজিবি) ব্যাটালিয়ানের  অধিনস্থ রেজু আমতলী বিওপির প্রস্তাবিত টিওবির স্থান নাইক্ষ্যাছড়ির পেয়ারা বুনিয়া এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে