আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বগুড়া শহরের স্টেশন রোডে প্রেসক্লাবের সামনে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সাংবাদিক সমাজ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহালের দাবিতে জোরালো আওয়াজ তোলে। সমাবেশে বগুড়ার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা একসঙ্গে স্লোগান তোলেন সাগর-রুনি হত্যার বিচার চাই, সাংবাদিকদের ন্যায্য মজুরি চাই, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল চাই।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা আজ নানা সংকটে। সাংবাদিকদের জীবন ও নিরাপত্তা ক্রমেই ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। দীর্ঘ ১২ বছরেও সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হওয়া দেশের গণতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থার জন্য লজ্জার বিষয়। বক্তারা আরও বলেন, সাংবাদিকদের ন্যায্য প্রাপ্য ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন এবং চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এখন সময়ের দাবি। বক্তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, সাংবাদিকদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের হয়রানি বা চাকরিচ্যুতি মেনে নেওয়া হবে না। একই সঙ্গে তারা অবিলম্বে দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনের দাবি জানান।
এ সময় সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি গণেশ দাশ, যিনি সাংবাদিকদের ঐক্য ও ন্যায়বিচারের আন্দোলনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের উপর অন্যায় হলে সমাজ নীরব থাকতে পারে না। আমরা সত্যের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলন কেবল সাংবাদিকদের নয়, এটি ন্যায় ও মানবাধিকারের লড়াই।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিকরা। তারা বলেন, মিডিয়া গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ কিন্তু সেই স্তম্ভ আজ বারবার আঘাতের মুখে। তাই এখন সময় এসেছে সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সাগর-রুনি হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানানো হয়।বগুড়ায় সাংবাদিক ইউনিয়নের এই বিক্ষোভ সমাবেশ আবারও প্রমাণ করেছে সাংবাদিক সমাজ ন্যায়বিচার ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ। সরকারের প্রতি তাদের আহ্বান, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করে গণমাধ্যমবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।