পুঠিয়ায় পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের মামলা করেছেন।
জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর পুঠিয়া থানায় শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম ও তার ছেলে হৃদয় (২৪) স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করার দায়ের পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একটি মামলা করেছেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, ছেলের বাবার পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার অষ্টম শ্রেণিতে পড়া মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে গেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের ছেলে হৃদয়। এই অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী ছেলের বাবা উপজেলা শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন আহ্বায়ক।
পুঠিয়া পৌর যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন,আমি ছয়জনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছি। মূল অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত হওয়ার পরেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করছে না। এছাড়াও এই মামলার অন্যান্য অভিযুক্ত আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবুও পুঠিয়া থানা তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করছে না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক চাপাচাপি কারণে থানা পুলিশ নিরব রয়েছে। আমার মেয়েটিকে নিয়ে পরিবারের সবাই প্রতিনিয়ত ভীষণ আতংক ও উৎকন্ঠার ভিতর দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিলমাড়িয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলামকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পুঠিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওয়াসিম হোসেন জানান, স্কুল ছাত্রী অপহরণের মামলায় শিলমাড়িয়া স্বেচ্ছাসেবক আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম এর নামে পুঠিয়া থানায় মামলার বিষয়টি আমার অবগত হয়েছি। আমি জেলার আহ্বায়ক এর সঙ্গে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন বলেন, শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের আহ্বায়কের স্কুলছাত্রী অপহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।