মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা, স্বাধীনতাকামী বিভিন্ন সংগঠনের সম্মাননাপ্রাপ্ত বীর নারী লক্ষ্ণী রাণী চৌধুরী আর নেই। রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়ায় নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
লক্ষ্ণী রাণী চৌধুরী ছিলেন শেরপুর শহরের উত্তর সাহাপাড়ার মৃত চন্ডীচরণ চৌধুরীর স্ত্রী এবং প্রথম আলোর শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি সবুজ চৌধুরীর মা। তিনি দুই ছেলে, তিন মেয়ে, অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে মুক্তিকামী জনতার পাশে দাঁড়িয়ে নানা ভূমিকা পালন করেন। কেবল এক বছরের সন্তানের জননী হয়েও মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, খাবার সরবরাহ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরিতে ভূমিকা রাখেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মাননা জানানো হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকেও তিনি একাধিকবার সম্মাননা পান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেল ৪টার দিকে শেরপুর শহরের উত্তর বাহিনী মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ।